ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ৩০/০৪/২০২৪ ৬:১০ পিএম

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওয়ে বাস–মাইক্রো মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। হতাহতরা সবাই বাঁশখালীর বাসিন্দা। তারা কক্সবাজারে বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাঁশখালীতে ফেরার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহতরা হলেন—বাঁশখালী উপজেলার ইলশা এলাকার মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম ও একই উপজেলার রায়ছড়া ইউনিয়নের কুফিয়া ডোংরা এলাকার গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া(৬৫), একই ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের পুত্র আবু আহমেদ (৬৫), পশ্চিম ইলশার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৫), খানখানাবাদের ডোংরা এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী ছায়রা খাতুন (৬৫), বাহারছড়ার নুরুল আলমের স্ত্রী খদিজা বেগম (৫০)। এদের মধ্যে সায়রা খাতুন ও মাহমদা খাতুন মা–মেয়ে।

আহত যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন—একই উপজেলার বাহারছরার মৃত আকমল মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, একই ইউপির দক্ষিণ ইলশার মৃত আবু ছালেকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, খানখানাবাদ ইউপির মৃত দুদু মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ, কাথরিয়া মাতব্বর বাড়ির তৈয়ব আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম, বাগমারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে রফিক আহমদ, একই এলাকার আব্দুল কায়ুমের ছেলে নুরুল হোসেন।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে বাঁশখালীর বাহারছড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মাস্টার ছাবের আহমদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। চিকিৎসা ক্যাম্পে যাদের চোখে ছানি পড়েছে তাদের শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পৃথকভাবে অপারেশন ও চিকিৎসা করার জন্য বাঁশখালী থেকে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার চিকিৎসা শেষে ২০ জন রোগী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা নিকট জনরা ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছয় নারী-পুরুষকে দুপুর ১টার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা গেছেন।

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা সহায়ক কর্মকর্তা নেছার আহমদ জানান, বাঁশখালীর ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে তাদের মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা জানান, সোমবার সকালে কক্সবাজার–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সামনে কক্সবাজারমুখী শ্যামলী পরিবহনের বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো চারজনের মৃত্যু হয়। হ

ডুলাহাজারা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নিহতদের মরদেহ তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত

কুতুপালং পশ্চিমপাড়ায় পরিচয় যাচাইহীন রোহিঙ্গা ভাড়া, বাড়ছে শঙ্কা

মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেনা জান্তার সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...