প্রকাশিত: ২৪/০৬/২০২২ ৮:০১ এএম

কক্সবাজারে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২২ জুন একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। যার ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। যার ফলে পুরো কক্সবাজারে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ডাক্তার শামসুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে তেমন সমস্যা হবে না। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন করতে হবে। তবেই অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত থাকবে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ লোকজন ও শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ করেছে। যারা এখনো তৃতীয় ডোজ নেননি তারা দ্রুত নিয়ে ফেললে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না কক্সবাজারে।

প্রাপ্ত তথ‍্যে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১ জন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রয়েছে। বুধবার আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। এনিয়ে গত দুইদিনে মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২৭ জন। যাদের মধ্যে ১৩ জন ছাত্রী। আক্রান্ত মেডিকেল ছাত্রীরা সকলেই কমেক হোস্টেলে অবস্থান করছিলো বলে জানা গেছে। এছাড়া ইতোমধ‍্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৯ দিনে কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১৭ জন।
এদিকে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনার ভীতি বাড়লেও সচেতনতাও বেড়েছে। বিগত কিছুদিন স্বাস্থ্যবিধি তেমন মেনে না চললেও এখন মানুষ মুখে মাক্স পড়ে ও দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে শুরু করেছে। এ বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন ডাক্তার সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মানুষ আগের চাইতে অনেক সচেতন হয়েছে। তাই বিষয়টি কক্সবাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত টেস্ট করে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মানুষের মাঝে আগ্রহের সৃষ্টি করতে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াসউদ্দিন আহমদ বলেন, মাক্স পড়ার বিষয়টি এখন কাউকে স্মরণ করে দিতে হয় না। করোনা বাড়ার সাথে সাথেই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ফেরা করতে শুরু করেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর একটু তদারকি বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। মাইকিং করে সর্বসাধারণকে এ ব্যাপারে সতর্ক করলে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব‍্যাপারে আরো সজাগ হবে।
এদিকে গত এক সপ্তাহে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ১১ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হন।
বিগত সময়ের চাইতে কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত এবং শনাক্তের হার কমলেও কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান সবাইকে টিকা নেওয়ার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...