ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৩/০২/২০২৪ ২:২৪ পিএম

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে একটানে এক জেলের জালে উঠে এসেছে ৮ লাখ টাকার ছোট-বড় বিভিন্ন রকমের মাছ। ওই মাছের ওজন প্রায় ৪০০ মণ বলে জানান স্থানীয়রা।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ সাবরাং টুরিজমপার্কসংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় মাঝি নুরুল হকে জালে এসব মাছ ধরা পড়ে। এ সময় ওই মাছ দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় করেন।

নুরুল হক টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলেদের জালে ছোট পোয়া, ফাইস্যা, বড় ফাইস্যা, মলা, ছুরি, বাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রায় ৪০০ মণ মাছ আটকা পড়েছে। জেলেরা এসব মাছ বিক্রি করছেন পাইকারি ক্রেতাদের কাছে। পাইকারি ক্রেতারা কিছু মাছ বাজারে তুললেও বাকিটুকু পাঠিয়ে দিচ্ছেন শুটকির মহালে।

জালের মাঝি এবাদুল্লাহ প্রকাশ বদয়া জানান, একটানে জালে আট লাখ টাকার মাছ উঠেছে। গত বছর এই সময়েও কয়েক লাখ টাকার মাছ পাওয়া গিয়েছিল। অন্যান্য বছরের চেয়ে হঠাৎ এ বছর জালে প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়ায় স্থানীয় জেলেরা খুব আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন।

টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক মাছ ও ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে (৬৫ দিন) মাছ ধরা ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন ও আকৃতি বেড়েছে অনেক গুণ। এর সুফল হিসেবে শাহপরীর দ্বীপ উপকূলের জেলেদের জালে বড় ও ছোট প্রজাতির প্রচুর পরিমাণের মাছ ধরা পড়ছে। এসব মাছ বিক্রির টাকায় জেলেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন, দূর হচ্ছে জেলেপল্লীর অভাব-অনটন। অবশ্যই এটা আনন্দের সংবাদ।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...