প্রকাশিত: ১২/১০/২০২১ ৯:৪৪ এএম
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি
সারাদেশের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপুজাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তার মধ্যে কক্সবাজারের উখিয়ায় ৭টি পূজামন্ডপ এবং ৮টি ঘটপুজার মাধ্যমে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

কিন্তু আজ মহা ষষ্ঠীপূজার প্রথম দিনে উখিয়ার একটি মণ্ডপে প্রতিমা ভেঙে ফেলেছে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রুমখাঁ বাজার পাড়া গ্রামের হরিওঁ মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, রুমখাঁ বাজার পাড়া গ্রামের হরিওঁ মন্দিরে সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের কিছু জায়গা নিয়ে মিলন রায় চৌধুরীর সাথে সুধাংশু বিমল চৌধুরীর ছেলে সন্তোষ চৌধুরীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যা নিয়ে গত মাসের ২২ তারিখ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী সামাজিক ভাবে বসে রায় দিলে উভয়পক্ষ সন্তোষজনক রায় পেয়ে মীমাংসা হয়। পরে প্রতিবছরের ন্যায় মণ্ডপ নির্মাণ করে পূজার আয়োজন করা হলেও সন্তোষ চৌধুরী পূণরায় জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুললে গত রাত ১০ (অক্টোবর) সকালে উখিয়ার থানার এসআই আতিক এসে পূণরায় মীমাংসা করে দিলে উভয়পক্ষ রায় মেনে পূজা করতে সম্মত হয়। এবং সে ভাবেই পূজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়। কিন্তু ফের বিপত্তি ঘটে আজ মহা ষষ্ঠীপূজার প্রথম দিনে রাতে পূজার জন্য আম গাছের পাতা আনতে গেলে বাধা দিয়ে বসে সন্তোষ চৌধুরীর পরিবার। গাছের টেইল কাটায় তেলেবেগুনে রেগে তার ছেলে সন্তোষ মদ্যপ অবস্থায় এবং সুধীর দাশের ছেলেরা এসে পুরোহিতকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিমা ভাঙতে চেষ্টা করলে পূজা কমিটি এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার অভিযুক্তরা হলেন, রুমখাঁ বাজার এলাকার সুধাংশু বিমল চৌধুরীর ছেলে সন্তোষ চৌধুরী, সুধীর দাশের ছেলে আশিষ দাশ,আরাধন দাশ, পরিতোষ দাশ এবং তাদের স্ত্রী ডেইজি দাশ, মিতা দাশ, নীলিমা চৌধুরী।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি
রুমখাঁ হরিওঁ মন্দির সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সভাপতি রাজিব রায় চৌধুরী বলেন, জায়গা নিয়ে যে বিরোধ ছিলো সেটা সমাধানের পর আমরা পূজার আয়োজন করেছি। কিন্তু তারা মনে ক্ষোভ রেখে পুজার কাজে বাধা দিবে তা কল্পনা করিনি। পূজার কাজে গাছের পাতা নিতে গেলে তারা দলবদ্ধ হয়ে এসে প্রতিমা ভাঙচুরকালে আমরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।”

এ বিষয়ে ওসি বলেন, দূর্গাপূজার প্রতিমায় ছোট ছোট ভাঙন ও মাটি খোঁড়ার মতো চিহ্ন দেখা গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সবকটি মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং মদ্যপ অবস্থায় কেউ পূজামণ্ডপে অবস্থান করলে সাথে সাথেই গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটা মন্দিরে আনসার এবং টহল দল বাড়ানো হয়েছে। সুত্র:কক্সবাজার জার্নাল

পাঠকের মতামত

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...