প্রকাশিত: ২৪/০১/২০১৭ ৪:৪৫ এএম
Single Page Top

শহিদ রুবেল, উখিয়া ::
উখিয়া উপজেলায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে শিশুশ্রম। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও দারিদ্রতার কারণে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা জুড়ে অসংখ্য শিশু বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে গাড়ির হেলপার, গৃহকর্মী, হোটেল-রেস্তোরা, সাগরে পোনা আহরণ, মাছ বিক্রি, গ্রীল ওয়ার্কশপে ওয়েল্ডিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমে পড়েছে শিশু শ্রমিকরা। নামমাত্র শ্রম মজুরীর পাশাপাশি এক পর্যায়ে কারণে-অকারণে শিশুদের ভাগ্যে জোটছে শারীরিক, মানসিক শোষণ সহ বিভিন্ন রকমের নির্যাতন।
জানা গেছে, শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার না করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কঠোর আইনী বিধিনিষেধ থাকলেও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না শিশুশ্রম। বরং বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও সমভাবে শ্রম বিক্রি করছে। অভাবের তাড়না ও সংসারের অশান্তির কারণে পথকলি শিশুরা মুলত বাঁচার তাগিদে জীবিকার সন্ধানে নেমে পড়ে রাস্তায়। এতে শিশু শ্রমিকরা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ক্ষতিকর শ্রম বিক্রি করে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।
সচেতন মহলের মতে, প্রতি বছর বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের অধিকার আদায়ের লক্ষে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচী চললেও আদতে সেটা মানা হচ্ছে না। এছাড়াও অনেক সময় শিশুদের অমানবিকভাবে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করেও পায় না শ্রমের ন্যায্যমূল্য। অভাবের তাড়নায় এসব শিশুদের মা-বাবা প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য না পাঠিয়ে নাম মাত্র মূল্যে গৃহস্থ কাজে কিংবা এসব ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে এর সংখ্যা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোনারপাড়া বাজারের হোটেলের কয়েকজন গ্লাস বয়ের সাথে কথা হলে জানা যায়, অভাবের তাড়নায় চায়ের দোকানে কাজ করতে হচ্ছে। তারা সকাল দশটা থেকে পর দিন গভীর রাত পর্যন্ত একটানা পরিশ্রম করে মজুরী পায় শখানেক টাকা। এনিয়ে পরিবার চলাতো দুরের কথা, নিজেও চলা কঠিন হয়ে পড়ে।
কোটবাজারের গ্রীল ওয়ার্কশর্প শ্রমিক আহমদ কবির জানান, অল্প বয়সে শিক্ষা ছেড়ে পারিবারিক ভাবে আর্থিক যোগদান দেওয়ার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নামতে হয়েছে।
হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাসেম জানান, উখিয়া উপজেলায় শিশুর শ্রমিকের সংখ্যা ৪০ হাজারের ন্যায়। এজন্য প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার যেন নিশ্চিত থাকে সেইজন্য সরকারী-বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের প্রয়োজন।
উখিয়া উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন দুলাল জানান, শ্রম আইনে শিশুদের শ্রম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও মানা হচ্ছে না সেই আইন। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক নির্যাতন চালানোও হয় শিশু শ্রমিকদের। শিশুশ্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

পাঠকের মতামত

Single Page Bottom

বিসিআরসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২৫ এ ভূষিত হলেন পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিপিএম

পর্যটন খাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নাইমুল হক পিপিএম ময়মনসিংহ ...

সাজেদা বেগমকে গর্জনিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পন

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি:: গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ...

সাংবাদিক জসিম আজাদের বসতভিটা দখলের ঘটনায় বাবু সহ ৩ জন কারাগারে

কক্সবাজারের উখিয়ায় সাংবাদিকের বসতভিটা দখলের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে পরিচিত মাহফুজ উদ্দিন বাবু ও তাঁর দুই সহযোগীকে ...
Single Page Footer