প্রকাশিত: ১২/০১/২০১৭ ৮:৩০ এএম

রফিক মাহমুদ, উখিয়া::

উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। কতিপয় প্রভাবশালী ইউপি সদস্য সহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কাটাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এনিয়ে কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে জীববৈচিত্র সহ বনভূমি ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

সরজমিনে পরিদর্শনে দেখাযায় উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের মধ্যম ফারিরবিল পালং খালী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বনভূমির পাহাড় কেটে মিনি ট্রাক (ডাম্পার) করে বিভিন্ন স্থাপনার জায়গা ভরাট ও ইট ভাটায় মাটি নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে পালংখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে উক্ত পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে স্থানীয় এলাকা বাসী অভিযোগ করেন। অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতার দাপটে কামাল হোসেন মেম্বার ও তার সহযোগীরা পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে অন্যত্রে বিক্রি করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছেনা। এইছাড়াও ফারিরবিল গ্রামের মিজানুর রহমনের নেতৃত্বে শফিউল্লাহ কাটা ডালা নামক স্থানে পাহাড় কেটে লক্ষ লক্ষ টাকা মাটি বিক্রির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন একধিক বার ড্রোজার মিসিন সহ ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করলেও তা বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে ফের পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেথে উটেছে। এদিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া, উঁচু পাহাড় কেটে ট্রাক বোঝাই করে ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পাহাড় কেটে মাটি বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

একইভাবে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া, ইনানী, পাটুয়ারটেক, নিদানিয়া, সোনারপাড়া, চোয়াংখালী, মোহাম্মদ শফির বিল, মনখালী, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী, বাঘঘোনা, রাজাপালং ইউনিয়নের ফলিয়াপাড়া, মুহুরীপাড়া, লম্বাশিয়া, লম্বাঘোনা, মধুরছাড়া, মাছকারিয়া, রতœাপালং ইউনিয়নের ভালুকিয়া, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের হাতিরঘোনাসহ পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫টির বেশি স্থানে পাহাড় কাটা চলছে।

ইনানী গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি ট্রাক মাটি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়। প্রতিদিন গড়ে একটি স্পট থেকে ১৫/২০ ট্রাক মাটি কেটে দেধাচে বিক্রি করা হচ্ছে। এ হিসাবে উপজেলার বিভিন্ন স্পট থেকে দৈনিক ৭/৮ শত ট্রাক মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। অভিযোক্ত কামাল হোসেন মেম্বার পাহাড় কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাইয়ের বাড়ি নির্মাণের জন্য তলা ভারাট করার প্রয়োজনে পার্শবতী পাহাড় থেকে মাটি কেটে জায়গা ভরাট করেছি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক সারোওয়ার আলম বলেন, পাহাড় কাটলেও বন বিভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলে ক্ষমতাশীল দলের হস্তক্ষেপের কারণে বার বার তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া পরিবেশ আইনে মামলা করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি লাগে বিদায় বিষয়টি একটু জটিলতা রয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কেউ পরিবেশ আইনে মামলা করতে পারেন। উখিয়ার পাহাড় কাটার বিষয়টি অনুসন্ধান করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত

সেভ দ্য চিলড্রেন ও ইউরোপীয় কমিশন এর বিয়ন্ড দ্য ডার্কনেস বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

সেভ দ্য চিলড্রেন আজ ইউরোপিয়ান সিভিল প্রটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশনস (ECHO)-এর সহযোগিতায় প্রকাশিত বই ...

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ব্র্যাক-এর উদ্যোগে বিশ্ব পরিচ্ছন্নতা দিবস পালিত

তিন শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যতিক্রমী ‘বিচ ক্লিনআপ ক্যাম্পেইন’ অনুষ্ঠিত পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ...

উখিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তি ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়ায় অনগ্রসর এলাকার সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রাপ্তি বিষয়ক পরিকল্পনা ...