প্রকাশিত: ২৬/০৭/২০১৭ ৯:৩০ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:১৩ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
আওয়ামীলীগ সরকারের বদন্যতায় উখিয়ায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা বিস্কুট পাচ্ছে।আর সরকারের শিক্ষামুখী উদার মনোভাবের কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার কারণে শিক্ষাঙ্গন থেকে ঝরে পড়া প্রবণতা হ্রাস পেয়ে ছাত্রছাত্রীর উপসি’তির হার বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। যে কারণে এখানে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকট দেখা দেওয়ায় শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষানুরাগী সচেতনমহলের অভিযোগ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পাতাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষাঙ্গনে পড়ালেখার অনুকূল পরিবেশ বিদ্যামান না থাকলে যতই অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত হোক না কেন, মানসম্মত পাঠদান করা হলেও ছাত্রছাত্রীরা তা উপলদ্ধি করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সুপরিসর শ্রেণিকক্ষ, স্বল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে অনুকূল পরিবেশই মেধা বিকাশের অন্যতম উপকরণ ।

প্রাথমিক শিক্ষানীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষকের অনুকূলে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী পাঠদানের বিধিবিধান থাকলেও বর্তমানে এ উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নীতিমালা চাপা পড়ে গেছে।

সরেজমিন এ উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের তেলখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে কর্তব্যরত শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৩ জন শিক্ষক দিয়ে ৪ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করাতে হচ্ছে। একেকটি বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসেছে ৮-১০জন ছাত্রছাত্রী। প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীদের জীবন উষ্ঠাগত।

কয়েকজন ছাত্রছাত্রী জানাল, তাদের খুব কষ্টের মধ্যে পড়ালেখা করতে হচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মদ জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিফট ভাগাভাগি করে পড়ালেখা করানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতার কারণে ৮০-৯০ জন ছাত্রছাত্রীকে একটি শ্রেণিকক্ষে পাঠকদান করাতে হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষাঙ্গনে শ্রেণিকক্ষ সংকট রয়েছে। ছাত্রছাত্রীর উল্লেখযোগ্য উপসি’তির কারণে নির্ধারিত শ্রেণিকক্ষ ব্যতীত বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ছাত্রছাত্রীদের গাদাগাদি করে হলেও পড়ালেখা করতে হচ্ছে।

এঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর জানান, শ্রেণিকক্ষ সম্প্রসারিত করার জন্য আপাতত ১০টি বিদ্যালয়ের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

শিক্ষকস্বল্পতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ওই কর্মকর্তা জানান, অধিকাংশ শিক্ষক পেনশনে চলে যাওয়ার কারণে বর্তমানে প্রায়ই বিদ্যালয়ে শিক্ষকস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি খণ্ডকালীন প্যারা শিক্ষক নিয়োগ দিলেও বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সংকট বিদ্যমান রয়েছে। পরবর্তী নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতে হবে বলে তিনি তার মতামত ব্যক্ত করেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...