প্রকাশিত: ০৪/০৭/২০১৭ ৯:৪৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১৯ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া উখিয়া::
বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে যেসব সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাল্যবিবাহ। ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নিচে বিয়ের সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনাসহ বাল্যবিবাহের কারণ চিহ্নত করতে সরকার কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। কিন্তু সরকারের একার পক্ষে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব না। এজন্য দরকার এ বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, স্থানীয় সরকার ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা এবং মেয়েদের শিক্ষাসহ দক্ষতামুলক প্রশিক্ষণ। বাল্যবিবাহ ঠেকাতে এরই মধ্যে প্রতিবাদি হয়ে উঠতে শুরু করেছে এখানকার মেয়েরা। এজন্য সহযোগিতা চেয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীদের। ফলে গণমাধ্যম কর্মী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় গত ৩ জুলাই বন্ধ হয়েছে লাকীর বাল্য বিয়ে। উখিয়ার ইউএনও মোঃমাঈন উদ্দিন ও টেকনাফের সহকারি কমিশনার ভূমি তুষার আহমদ এর ভূমিকায় প্রশংসিতও হয়েছে। টেকনাফ শাপলাপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাজমা আক্তার লাকীর সাথে উখিয়া উপজেলার মনখালীর সৌদি প্রবাসী বর নুর আমিনের বাল্য বিয়েটি গণমাধ্যম কর্মী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ হয়ে যায়। লাকীর মতো কক্সবাজার জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিশোরীদের গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা নিতে আহবান জানিয়েছেন উখিয়া সাংবাদিক পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার । আর এই মেয়েদের সাহায্য করতে এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সাংবাদিকদের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে সামাজিক সংগঠন উখিয়া কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদ। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে বাল্য বিবাহ ঠেকিয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় ফেমাস সংসদের পেয়ার এডুকেটর রাহেলা আক্তার জানায়, মেয়েরা বিপদে পড়লে পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ সাহায্য করবে। আর পুলিশ না করলে শিক্ষক সহপাঠী বা অন্য কেউ করবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...