
নাতী সম্বোধন করে ২০ বছর বয়সী রিফাতকে নাস্তা করাতে বলেছিলেন ৫০ বছরের ছৈয়দ হোসাইন।তাতেই বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তরুন রিফাত ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন ছৈয়দ হোসাইনকে।
সেখানেই তিনি মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন, পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সোনাইছড়ির দীঘিরবিল এলাকায়।
নিহত ছৈয়দ হোসাইন (৫০) দীঘিরবিল এলাকার মৃত আব্দু রশিদ মিয়াজির ছেলে।অন্যদিকে অভিযুক্ত রিফাত (২০) একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছৈয়দ হোসাইন মাগরিবের নামায পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে এলাকার দোকানে আসেন, এরপর সেখানে রিফাতকে দেখতে পেয়ে ছৈয়দ হোসেন দুষ্টমি করে নাস্তা করাতে বলায় ক্ষেপে যায় রিফাত, পরে ছৈয়দ হোসেন তাঁকে পাগল বলে সম্বোধন করলে রিফাত তাঁর মুখে উপর্যপুরি ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছৈয়দ হোসেন কে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে নিহত ছৈয়দ হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযুক্ত রিফাত বা তাঁর পরিবারের সাথে পূর্ব শুত্রুতা না থাকলেও এ ঘটনার পর রিফাতের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর আবারো হামলা করার জন্য তেড়ে আসে, পরে স্থানীয়দের সহায়তায় হামলা থেকে রক্ষা পায় তাঁরা।
এ ঘটনায় জড়িত রিফাতের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন নিহত ছৈয়দ হোসেনের পরিবার।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ জানান, নিহত ছৈয়দ হোসেনের মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পাশাপাশি জড়িত রিফাতকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম, মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসীও। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

পাঠকের মতামত