ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১০/১২/২০২৫ ৫:০৬ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়া থানা পুলিশের অভিযানে অর্থের বিনিময়ে মাদক কারবারিকে ছেড়ে দিয়ে নিরীহ কর্মচারিকে ফাঁসিয়ে দেওয়া এবং জব্দকৃত ইয়াবার সংখ্যা কম দেখানোর অভিযোগে জেলা পুলিশ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন,
“গণমাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসার পর আমরা অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে দ্রুত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় মামলা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উখিয়া সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান জানান,
“সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই থেকে শুরু করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”

গত ৭ ডিসেম্বর জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত ‘কক্সবাজারে ইয়াবাকান্ডে জড়িত ৫ পুলিশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর উত্তম কুমার বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেও ছেড়ে দেওয়া হয়। একই অভিযানে দোকান কর্মচারী হারুনুর রশীদকে ৬০০ পিস ইয়াবা দিয়ে জেলহাজতে মাদক মামলার আসামী হিসেবে পাঠানো হয়।

জড়িত ৫ পুলিশ সদস্য হলেন—মামলার বাদী এসআই সঞ্জিত কুমার মন্ডল এসআই ফরহাদ রাব্বী ঈশান
কনেস্টেবল লিমন,মাহবুব, শরীফ।

সূত্রের দাবি, ঈশানের প্ররোচনায় অন্যান্য সদস্যরা তাকে সহযোগিতা করেছেন এবং অবৈধভাবে আয় করা অর্থ ভাগাভাগি করেছেন। ঈশান পূর্বে চকরিয়া থানায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে প্রত্যাহার হয়ে উখিয়া থানায় যোগ দিয়েছিলেন। উখিয়ায় এসে তিনি স্বভাব পরিবর্তন না করায় অল্প কদিনের মধ্যে কুতুবদিয়ায় বদলি করা হয়। তবে সদ্য সাবেক ওসি জিয়াউল হকের সাথে সখ্যতা গড়ে তিনি উখিয়ায় এখনও রয়েছেন এবং বদলি আদেশের পরও অভিযানে যোগ দিয়ে ইয়াবাকান্ডের মতো নেক্কারজনক ঘটনার অবতারণা করেছেন।

উখিয়া থানার সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের একদিন পর ঈশান ছুটিতে গেছেন এবং মুঠোফোনে যোগাযোগও সম্ভব হয়নি। সুত্র,টেলিগ্রাম

পাঠকের মতামত

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ড্রাইভার রঞ্জনের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ সরকারি গাড়িচালক রঞ্জন কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ...