পরিদর্শন করেছে পুলিশ
ইনানীতে দখল করা জমিতে এবার বহহুতল পাকা স্থাপনা নির্মাণ

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের উখিয়া উপজেলার ইনানীর পাটুয়ারটেকে আবু তাহের-আবুল মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন একটি গং ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ নামের এক লোকের জবরদখল করা মূল্যবান জমিতে এবার বহুতল পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে।
এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রামের বাসিন্দা ফরহাদ উদ্দিন আহমেদের ক্রয় করা কোটি টাকা মূল্যের জমিটি জোরপূর্বক দখল করেছিলো চক্রটি-এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
তিনি জানান, তিন বছরের বেশি সময় ধরে থানা-আদালতসহ বিভিন্ন দপ্তরে অমানুষিক দৌড়ঝাঁপ করেও জমিটি উদ্ধার করতে পারেনি। আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহালতবিয়ত ছিলেন আবু তাহের ও আবুল মঞ্জুরের ভূমিদস্যু চক্র৷ তার উপর আগের ইকো স্থাপনা ভেঙে এবার বহুতল পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন জমির মালিক ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ।
ভুক্তভোগীর দাবি, গত ২৪ এপ্রিল থেকে দ্বিতল পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে চক্রটি। সেখানে প্রতিদিন নির্মাণকাজ চালাচ্ছে শ্রমিকরা। নিরুপায় হয়ে থানায় আবার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জমি মালিক ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (২ মে) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি দল।
এই ভুক্তভোগী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১০ সালে স্থানীয় ফরিদ আলম থেকে মেরিনড্রাইভ লাগোয়া ১৬ শতক জমি ক্রয় করেন ফরহাদ উদ্দীন। ক্রয়ের পর সীমানা প্রাচীরও দেন। কিন্তু সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে স্থানীয় আবু তাহের-আবুল মঞ্জুরের নেতৃত্বে একটি ‘ভূমিদস্যু’ চক্র জোরপূর্বক ৮ শতক জমি জবর দখল করে। সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করে রাতারাতি সী-সল্ট নামের একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা চালু করে। একই সাথে ফরহাদ উদ্দিন ও তার স্ত্রীর নামে বায়না রেজিস্ট্রিকৃত আরো ২৮ শতকসহ মোট ৩৬ শতক জমি জবরদখল করেছে।
এই মূল্যবান জমি দখলের ঘটনায় থানা ও আদালতে একাধিক মামলা ও অভিযোগ দায়ের করেন জমির মালিক ফরহাদ উদ্দিন। মামলায় জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারাসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করায়। কিন্তু এই ‘ভূমিদস্যু’ চক্রের কব্জা থেকে জমি উদ্ধার করতে পারেননি এই ভুক্তভোগী। যথাযথ সহযোগিতা পায়নি পুলিশ ও প্রশাসনের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জমি দখলে হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল খেটেছেন আবুল মঞ্জুর ও আবু তাহেরসহ অন্যান্য জবরদখলকারীরা।
ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমার কেনা জমি সাদা কাগজের মতো নিষ্কন্টক। কোনো জটিলতা নেই, কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু ভূমিদস্যু চক্রটি পেশীশক্তির জোরে জবরদখল করে রেখেছে। কিন্তু বহু দৌড়ঝাঁপ করেও আমি কোনো স্থায়ী সমাধান পাইনি। আমি স্থানীয় সমাধান কামনা করছি। জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু তাহের বলেন, ‘আমরা কারো জমি দখল করিনি। আমাদের জমিতে আমরা দোকান নির্মাণ করছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। কাগজপত্র ও আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অভিযোগকারীকে সহযোগিতা করবে পুলিশ।’
পাঠকের মতামত