ইউনিয়ন হাসপাতালের একটি লোভি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার

কক্সবাজারে হাসপাতাল তৈরীর কারিগর নুরুল হুদা

ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৩/০২/২০২৫ ৭:৫১ পিএম

পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারে যাদের মহৎ চিন্তার বাস্তবায়নে সমাজের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসছে, যাদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হচ্ছে সমাজ। যাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সততা এবং কর্ম মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করছে, তারাই আলোকিত মানুষ। এমনই একজন মহৎ মানুষ হাসপাতাল গড়ার কারিগর নুরুল হুদা। তিনি কক্সবাজারের একজন চিকিৎসা সেবার সেবক উদ্যোক্তা এবং জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কল্যাণে কাজ করে যাওয়া একজন মানুষ।
তার একমাত্র সাধনা ও জীবনব্রত চিকিৎসাসেবা। পর্যটন নগরীর সমাজ-স্বজাতি-স্বদেশের মানুষের মানসম্মত চিকিৎসাসেবা প্রদানই তার জীবনের একমাত্র ব্রত। তার সমাজসেবার মূলে রয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ।
তিনি একজন অনন্য আদর্শবাদী, সদাচার, ধর্মপ্রাণ ও উদারনৈতিক সমাজসেবী। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, একটি চিকিৎসা আন্দোলনের নাম। তার প্রসার চিন্তায় কক্সবাজারে সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ডিজিটাল ও স্বনামধন্য ইউনিয়ন হাসপাতাল গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। জীবনবোধে অনেক সামাজিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক।
নুরুল হুদা সুদীর্ঘ হাসপাতাল কেন্দ্রীক জীবনে অসংখ্য গরিব-অসহায় রোগীর নানান সমস্যা অবলোকন করে এসেছেন, যা কক্সবাজারে নজিরবিহীন। সেই ব্যক্তিকে সম্প্রতি ইউনিয়ন হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দিতে একটি লোভি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে।
৫ আগষ্ট পরবর্তি পঠ পরিবর্তন দেখিয়ে অযথা রাজনৈতিক তকমা দিয়ে কিছু লোভি পরিচালক সিন্ডিকেট করে নুরুল হুদাকে কোন নিয়ম কানুন না মেনে যা ইচ্ছে তাই করছে। উল্টো আরো ব্যক্তিগত আক্রোশ করে সম্মানহানি করছে। যা অত্যান্ত দু:খজনক।
তিনি আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৯ সালে পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার মিলে আমি সম্পূর্ণ নতুনভাবে ইউনিয়ন গড়ে তুলি। সেই থেকে এ পর্যন্ত সকলের অর্পিত দায়িত্ব যথাযতভাবে পালন করে আসছি-হুট করে আমার চারিত্রিক ও অর্থ কেলেংকারী এবং কথিত রাজনৈতিক কথা বলে সরিয়ে দিতে চাই। আমার ঘাম আর শ্রম মেধা হাসপাতালের প্রতিটি ইটে রয়েছে যা কক্সবাজারবাসী জানেন।
কতটা নিমক হারাম হলে এরকম আচরণ করতে পারে কয়েকজন পরিচালক। তারা আমাকে ব্যবহার করে অনেককিছু অর্জন করেছে। আমি প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব তবুও তাদের এরকম অনাধিকার চর্চা করতে দেব না।
কক্সবাজারের সচেতনমহল বলেছেন, নুরুল হুদার মেধা আর প্রজ্ঞার বলয়ে তৈরি আজকের ইউনিয়ন হাসপাতাল। যেখানে জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ স্বল্প মূল্যে ও অবস্থা বিবেচনায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। জেলায় একমাত্র বেসরকারীভাবে আইসিইউসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত প্রজন্মকে রক্ষা করতে এই হাসপাতাল সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১লা জানুযারী হাসপাতালের যাত্রা শুরু পরপরই-সারাবিশ্বে করোনা মহামারী শুরু হয়। তখন কক্সবাজার জেলায় বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে একমাত্র ইউনিয়ন হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন চালু করে। অনেক করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবাদান এবং জীবন রক্ষা করে অত্যাধুনিক এ প্রতিষ্ঠানটি। তখন কক্সবাজারের প্রায় প্রাইভেট হাসপাতাল কার্যত বন্ধ ছিল। এই উদ্যোগগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমডি নুরুল হুদা নিয়েছিলেন করোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত। অনেকদিন অব্যাহত ছিল এসব কার্যক্রম। এছাড়া তিনি জেলার একমাত্র কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টার ব্যবস্থা করেন এই হাসপাতালে। প্রতিদিন জেলার ৫০০ এর অধিক রোগির ভোগান্তি ও সেবার কথা মাথায় নিয়ে এমডি নুরুল হুদা ৩ বছর আগে এসব পরিকল্পনা শুরু করেছিল। বর্তমানে জেলার কিডনী ডায়ালাইসিস রোগিরা বাসায় থেকে সেবা নিতে পারছে। নবজাতক বাচ্চাদের এনআইসিইউ এবং সংকটাপন্ন শিশুদের জন্য পিআইসিইউ জেলায় একমাত্র ইউনিয়ন হাসপাতালে রয়েছে। যার স্বপ্ন ও বাস্তবায়ন তিনি করেছেন। বর্তমানে সংকটাপন্ন ও মুমুর্ষ নবজাতক শিশুর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে যেতে হচ্ছেনা। এটাও তার একান্ত প্রচেষ্টার ফসল। হাসপাতালে বর্তমানে ৪০০ এর অধিক ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। এতে বেশীরভাগ কর্মসংস্থান হয়েছে কক্সবাজারের ছেলে মেয়েদের। এতবড় কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্বলিত প্রতিষ্ঠান জেলায় আর নেই।
এ প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ডাক্তার চেম্বার করে, পরীক্ষা নিরীক্ষায় ডিসকাউন্ট ও বিশ্বমানের মেশিনে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। নুরুল হুদার জীবনে শহরের প্রাণকেন্দ্রে হাসপাতাল গড়ে তোলা এক বিরাট মহৎ কাজ। তিনি সর্বশেষ ইউনিয়ন হাসপাতালের এমডি। দীর্ঘ বছর ধরে অদ্যবধি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে কক্সবাজার জেলাবাসীর চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছেন। সরকারী-বেসরকারী যেকোন বড় অনুষ্ঠানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে আসছে।
হাসপাতালে রয়েছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান। এখানে স্বল্পমূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে সকল রকম ল্যাব ইনভেস্টিগেশন হয়। প্রতিষ্ঠানটি জেলা শহরে হওয়ার ফলে সমস্ত উপজেলার মানুষকে সেবা দিচ্ছে।
ব্যক্তিগতভাবে নুরুল হুদা অনেকটাই ব্যয় করেন চিকিৎসাসেবায়। তিনি মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নানান কল্যাণমুখী সামাজিক কাজকর্ম ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
নুরুল হুদা বয়স্ক, বিধবা, অস্বচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত হারে মাসিক ভাতা প্রদানসহ দুর্যোগ দুর্বিপাকে এলাকার মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, কবরস্থান ও খেলাধুলা, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা করছেন তিনি।
জেলা-উপজেলার প্রায় চিকিৎসক, বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সমাজকর্মী, মানবাধিকার নেতা, সাংবাদিক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা স্বাস্থ্যবন্ধু খ্যাত নুরুল হুদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও তাকে তার দায়িত্বে বহাল করতে সবিনয় অনুরোধ করছেন। অন্যথায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বাদী এখন কক্সবাজার দুদকের উপ-পরিচালক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ...

দৈনিক জনকণ্ঠের রিপোর্ট রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর সরকারি লাইসেন্স নেই, তদন্ত টিমের পরিদর্শন

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় ১৫টি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার চলছে অনুমতি বিহীন। সরকারিভাবে কোন ...

উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ইউনিফর্ম, অস্ত্র-গুলি ও হাতকড়াসহ আটক ১

কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা এবং প্রতারণার অভিযোগে একটি সংঘবদ্ধ ...