
টেকনাফ প্রতিনিধি::
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে শূন্য বাড়িতে হাইস্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করেছে। কোন রাগ-অভিমানে এই স্কুল ছাত্রীর আত্নহত্যা নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়,২১নভেম্বর দুপুর সোয়া ২টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ঝিমংখালীর নুরুল আমিনের মেয়ে ও নয়া বাজার হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নুর বেগম (১৫) বাবা-মা বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে খালি বাড়িতে ঘরের তীরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করে। নিহতের ভাই পিইসি পরীক্ষার্থী নুরুল আবছার বাড়িতে এসে দরজা খোলার জন্য ডাকা-ডাকি করে।
কাউকে না পেয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে বোনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি ও চিৎকার করে। তখন পাশ্ববর্তী লোকজন জড়ো হয়। এই খবর পেয়ে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোঃ জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এই ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি স্বাপেক্ষে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় মেম্বার শাহ আলম স্কুল ছাত্রীর আতœহত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এদিকে স্বচ্ছল পরিবারের স্কুল পড়–য়া সুদর্শন মেয়ের আতœহত্যার রহস্য কি তা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা করতে শুনা গেছে।
এদিকে পিতা নুরুল আলম জানান,আমার মেয়ের কোন ধরনের রাগ-অভিমান কিছুই জানিনা। আমরা মা-বাবা বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে এই নিষ্ঠুর ঘটনা কেন ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছিনা।
পাঠকের মতামত