ডেস্ক রিপোর্ট::
রোহিঙ্গাদের অপুষ্টি ও খাদ্যাভাব মোকাবেলায় সেভ দ্য চিলড্রেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী বিভিন্ন কর্মুচী গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেভ দ্য চিলড্রেন জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর সহায়তায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে জরূরী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে, যাদের মধ্যে অনেকেই অপুষ্টিতে ভূগছে। ৩ লাখ ৪৭ হাজারের উপর রোহিঙ্গা খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে উপকৃত হবে। ইউনিসেফ, ইইএনইচসিআর, এ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার, সেভ দ্য চিলড্রেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সম্প্রতি কুতুপালং ক্যাম্পে একটি সমীক্ষা চালায় যাতে দেখা যায় রোহিঙ্গারা ব্যাপকহারে পুষ্টিহীনতায় ভূগছে। সমীক্ষায় আরো দেখা যায় যে প্রতি ৪ জন রোহিঙ্গা শিশুর মধ্যে একজন গুরূতর পুষ্ঠিহীনতার শিকার।
’শিশু, মা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য কর্মসূচী শুরূ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী’র সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আমরা এই ধরণের কর্মসূচী পরিচালনা করে সফলতা পেয়েছি’- মার্ক ওহারা, সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মসূচী পরিচালক এ উপলক্ষ্যে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো বলেন, ”প্রতিটি শিশুরই পুষ্টিকর খাবার পাওয়ার অধিকার রয়েছে”।
পিটার গেস্ট, জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী বলেন, ”আমরা দেশীয় খাবারে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করছি। এ ধরণে সহায়তার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে বড় পরিবারগুলো খাদ্য-স্বল্পতায় না ভুগে”।
পুষ্টিহীনতার সম্পূর্ণ চিত্র পেতে সংস্থাগুলো সমীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। সমীক্ষার ফলাফল মারাত্মক পুষ্টিহীনতার শিকার শিশুদের চিহিÍত করতে ও প্রয়োজনীয় কর্মসূচী নিতে সহায়তা করবে।
কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় মায়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। আগস্ট ২০১৭ সাল থেকে নতুন করে ৬ লাখের উপর রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে এবং তারাসহ আগে থেকে বসবাসকারিরা ব্যাপকহারে দারিদ্র ও পুষ্টিহীনতার শিকার।
পাঠকের মতামত