সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া নিউজ ডটকম।
প্রকাশিত: ১০/০৯/২০২৫ ১০:৩৭ এএম

কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অজস্র ইয়াবা দেশে প্রবেশ করছে। শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে কলেজ-ভার্সিটি, এমনকি গ্রামগঞ্জের অলি-গলিতেও হাত বাড়ালেই মিলছে ‘মরণঘাতী ট্যাবলেট’।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটের যোগসাজশে গড়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা সাম্রাজ্য। নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী থেকে রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও যুক্ত হচ্ছে এই মাদক কারবারে। দ্রুত কোটিপতি হওয়ার লোভে প্রতিদিনই নতুন নতুন মুখ যোগ হচ্ছে সিন্ডিকেটে। এতে উখিয়া হয়ে উঠেছে ইয়াবার ভয়ঙ্কর ট্রানজিট পয়েন্ট।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী বালুখালী, শিয়াল্লাপাড়া, বেতবুনিয়া, দরগাবিল, ডেইলপাড়া, ডিগলিয়া, বরইতলী, রহমতের বিল ও ধামনখালী সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত ইয়াবার চালান আসে। পরে এসব ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত নির্ধারিত স্থান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মজুত করা হয়। এরপর সড়ক পথে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম হয়ে রাজধানীর পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে যায়। দেশের আন্তর্জাতিক চোরাচালান সিন্ডিকেট এখন অস্ত্রের পরিবর্তে ইয়াবা ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেকেই রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই এ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা চালাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবার ছোট চালান ধরা পড়লেও মূল গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ইয়াবা বাহক আটক করেই দায়সারা অভিযান চালানো হচ্ছে।

শুধু সীমান্ত নয়, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের বস্তিতেও চলছে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা। বিদেশি মদ, হেরোইন, গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিলের বড় বাজার গড়ে উঠেছে এখানে। ক্যাম্পের কিছু পুলিশ সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যদের নিয়মিত ম্যানেজ করেই নির্বিঘ্নে চলছে এ ব্যবসা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুধু কুতুপালং ক্যাম্প ও আশপাশের বস্তিতেই কয়েকশ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ জড়িত মাদক ব্যবসায়। বিকেলের পর থেকে সারারাত সোনারপাড়া, কোটবাজার ও হ্নীলা থেকে শত শত মোটরসাইকেলে উঠতি বয়সী তরুণরা আসে কুতুপালং এলাকায়। অন্তত ডজনখানেক স্পটে দিন-রাত সমানতালে চলে ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন ও মদের বেচাকেনা। মাঝে মধ্যে টাকার লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হলেই শুধু কাউকে আটক করা হয়।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরতে পুলিশ সবসময় তৎপর। তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া অভিযান পরিচালনা করলে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারে।

পাঠকের মতামত

পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর মহেশখালীর ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ‘ধুইল্যাজুড়ি পাহাড়ি ঢালা’ পর্যটন সম্ভাবনায় ভরপুর। সুউচ্চ পাহাড়, ...

চকরিয়া থেকে প্রত্যাহারের পর মনজুর কাদের এবার হাটহাজারীর ওসি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নির্দেশে কক্সবাজারের চকরিয়া থানা ...