প্রকাশিত: ১২/১১/২০১৭ ৮:২১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:১৭ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারে ভয়াবহ সংঘাত সৃষ্টির আড়াই মাসেও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ না হওয়ায় এর নেপথ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় রোহিঙ্গারা এখনো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশমুখী হচ্ছে বলে ধারণা করছেন কর্মকর্তারা। সে সাথে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে আনছে।

টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ দিয়ে অনুপ্রবেশের পর এসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় শিবিরে পাঠানোর জন্য এনে রাখা হয় হারবার পয়েন্টে। টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ কিংবা হারবার পয়েন্টে প্রতিদিনই একই অবস্থা।

ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮শ থেকে এক হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটছে সীমান্তের এই পয়েন্ট দিয়ে। আবার মাঝে মাঝে উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া দিয়েও হচ্ছে বড় রকমের অনুপ্রবেশ। এক্ষেত্রে মিয়ানমারে সংঘাত সৃষ্টির আড়াই মাস পরেও যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া বাংলাদেশে সমানভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

কক্সবাজার উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে বেশ কিছু এনজিও, সংগঠন কাজ করছে। আমরা সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি।’

তবে শাহপরী দ্বীপ দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারে সংঘাত বন্ধ হলেও নানাভাবে তাদের ওপর দমন-পীড়ন চলছে।

কয়েকজন রোহিঙ্গা বলেন, ‘আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে তাই আমরা পালিয়ে এসেছি। আমাদের গলা ধরে ধাক্কা দেয়, মারধর করে।’

এদিকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে ইন্ধন দেয়ার ব্যাপারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসেছে কক্সবাজারের প্রশাসন। শুরু হয়েছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিওগুলোর কার্যক্রম তদারকি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে অথবা এসে পড়েছে তাদেরকে মানবিক সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু তাদেরকে ওই পার থেকে নিয়ে আসার দায়িত্বতো আমাদের না।’

কক্সবাজার পুলিশ সুপার ড. এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, ‘কেউ যেনো রোহিঙ্গাদের মোটিভেট করে ওই পার থেকে নিয়ে আসতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। ক্যাম্পের ভেতর মানবিক সহায়তায় কাজ করবে এর বাইরে কোনো কাজ তারা করতে পারবে না।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত সৃষ্টির জের ধরে ২৫শে আগস্ট থেকে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয় বাংলাদেশে। এখন পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। আর রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় কাজ করছে দেশী-বিদেশী একশ’র বেশি এনজিও। সুত্র: কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

উপকূলের ম্যানগ্রোভে বিশ্বস্বীকৃতি—দ্য আর্থশট প্রাইজ জিতলো ফ্রেন্ডশিপ

বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ পুরস্কার ‘দি আর্থশট প্রাইজ ২০২৫’ জিতেছে বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ। ...

রোহিঙ্গার হাতে এনআইডি : নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আসামি চসিকের কর্মচারীও

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং পরবর্তীতে এটি ব্যবহার ...

রোহিঙ্গা সংকটে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করবে আইওএম ও এইচসিআই

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং কানাডার প্রাচীনতম মুসলিম ত্রাণ সংস্থা হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল (এইচসিআই) ও ...

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ...

রোহিঙ্গা নারীকে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরখাস্ত

এক রোহিঙ্গা নারীকে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ...