প্রকাশিত: ২২/০৩/২০২০ ৯:৩৪ এএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আকাশ থেকে ৪০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের একটি ধাতব বস্তু উড়ে এসে পড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। মাটিতে পড়ার পর সেটি আবার ৯ থেকে ১০ ফুট মাটিতে গেঁথে যায়। পুলিশের পাশাপাশি বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও এই ধাতব বস্তুর বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
বর্তমানে বস্তুটি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ধাতব বস্তুটিতে লাল এবং সাদা রঙের প্রলেপ রয়েছে।
সীতাকুন্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, ‘কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের টিম এসেছিল। তারা মাটির নিচ থেকে ধাতব বস্তু উদ্ধার করে পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছে। এখন সিআইডির টিম দিয়ে এটি পরীক্ষা করা হবে। আসলে বস্তুটি কোথা থেকে এসে পড়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শনিবার দুপুর দুই টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পূর্বহাসনাবাদ গ্রামের মিত্র বাড়ির পাশেই ধাতব বস্তুটি এসে পড়ে।
স্থানীয়রা দাবি করে, এটি আকাশ থেকেই পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে। এরপরই ধাতব বস্তুর রহস্য উন্মোচনে তলব করা হয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের-সিএমপি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ জানান, প্রথমে বলা হয়েছিল, এটি আকাশ থেকে পড়েছে। তাই ধারণা করা হয়েছিল হেলিকপ্টারের কোনো অংশ হতে পারে। এমনকি বিমানের যন্ত্রও হতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে মাটির নিচ থেকে তোলার পর দেখা গেলো একটি লোহার খণ্ড। কিন্তু কোথা থেকে এসে এই খণ্ডটি এখানে পড়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় এলাকায় বেশ কটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে আধ কিলোমিটার দূরে এধরণের একটি ইয়ার্ড রয়েছে। সেখানে থেকে এই বিশাল লোহার পাত উড়ে আসতে পারে বলে অনেকেই সন্দেহ করছে। কিন্তু বড় ধরণের কোনো বিস্ফোরণ না হলে এত বড় ধাতব বস্তু উড়ে আসতে পারে না বলে মত দিয়েছে স্থানীয়রা। ওই এসময় শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কোনো বিস্ফোরণের তথ্য নেই পুলিশের কাছে।
ঘটনার অনুসন্ধানকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তা পলাশ কান্তি নাথ জানান, বাড়ির সীমানার ৫ থেকে ৬ হাত দূরে গর্ত সৃষ্টি হয়ে ধাতব বস্তুটি মাটির নিচে ঢুকে গিয়েছিল। এমনকি এসব শব্দ হওয়ায় স্থানীয়দের কিছুটা আতংক দেখা দেয়। পরে যখন সেটি মাটির নিচ থেকে তুলে আনা হয় তার সেইপ অনেকটা জাহাজের নোঙরের মতো। ঘটনার পর পরই উৎসুক জনতা ধাতব বস্তুটি দেখার জন্য সেখানে ভিড় করে।
চূড়ান্ত পরীক্ষা ছাড়া এই ধাতব বস্তু সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মোল্লা। একই ধরণের কথা বলছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ

পাঠকের মতামত

অবরোধের আট ঘণ্টা পর ফের সচল কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউনিসেফ এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। ...

উখিয়ায় স্বাস্থ্যসেবায় সংকট : বন্ধ ‘স্পেশালাইজড হাসপাতাল’ চালুর দাবি

রোহিঙ্গা আগমনের পর কক্সবাজারের উখিয়ায় জনসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো সে অনুযায়ী সম্প্রসারিত হয়নি। ...

উখিয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সড়ক অবরোধ, নেতাদের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিচ্যুত প্রায় ১২০০ স্থানীয় শিক্ষক কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেছেন। ...

ঘুমধুম সীমান্তে আরাকান আর্মির সদস্য সন্দেহে দুই উপজাতি নাগরিক আটক!

কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধীনস্থ তুমব্রু বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সকাল ১১টার দিকে সন্দেহভাজন দুইজন ...