
আজিজুল হক রানা::

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম কচুবনিয়ায় কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহ বধুকে কিল-ঘুষি লাতি ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়–কক্সবাজার জেলার ১২নং ওয়ার্ডের জরজরি গ্রামের আব্দুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কচুবনিয়া বড়ুয়া পাড়ায় স্বস্ত্রীক ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। আবদুল্লাহ(৩০) কচুবনিয়ায় মুদি দোকান করে কোনমতে সংসারের ব্যায়-ভার বহন করত। সম্প্রতি সময়ে আবদুল্লাহর স্ত্রী উর্মি আক্তারের উপর লুলুপ দৃষ্টি পড়ে কচুবনিয়া বড়ুয়াপাড়া গ্রামের মনিদ্র বড়ুয়ার ছেলে আপন বড়ুয়ার। বিভিন্ন সময় আপন বড়ুয়া উর্মি আক্তারকে কুপ্রস্তাব দিয়ে যৌন হেনস্তা করত। উর্মি আক্তার বিষয়টি স্বামী ও বাসার মালিককে অবগত করলেও কোন সুরাহা হয়নি। শেষমেশ আপন বড়ুয়ার মানসিক হেনস্তার কারণে মানইজ্জত রক্ষার্থে কচুবনিয়াস্থ মুদি দোকানটি ছেড়ে দিয়ে কুতুপালং বাজারে এসে দোকান দেয় আবদুল্লাহ। এরপরও আপন বড়ুয়ার যৌন লালসা থেকে বাঁচতে পারেনি উর্মি আক্তার। সর্বশেষ ২০ মার্চ ২০২০ইং দুপুরে স্বামী না থাকার সুযোগে আপন বড়ুয়া মদ পান করে ঘরে ঢুকে জড়িয়ে ধরে উর্মি আকতারকে। ভয় পেয়ে উর্মি আক্তার চিৎকার করে তখন আপন বড়ুয়া মুখ টিপে ধরে এবং কিল-ঘুষি মারে একপর্যায়ে লাতি মেরে পালিয়ে যায়। ততক্ষণে উর্মি আক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়ে। আশেপাশের লোকজন এসে উর্মি আক্তার এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। উর্মি আক্তারবর্তমানে ২মাসের গর্ভবতী হওয়ায় পেটের বাচ্চা নষ্ট হওয়ার আশঙ্খা প্রকাশ করেছেন দায়িত্বরত চিকিৎসকগণ। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আপন বড়ুয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন উর্মি আক্তার গালিগালাজ করায় তেলের ড্রাম গায়ের দিকে ছুড়ে মেরেছি সামান্য জখম লাগায় তাৎক্ষণিক প্রয়োনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে আপন বড়ুয়া বলেন আমি নিজের টাকায় মদ খায় তাতে সাংবাদিকদের এত মাথাব্যথা কেন? উর্মি আক্তারের স্বামী আবদুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত আপন বড়ুয়া আমার স্ত্রীকে যৌন হেনস্তা করত, লম্পটি করতে না পেরে আমার স্ত্রীকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ ব্যাপারে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আহত উর্মির স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছে আমরা শীঘ্রই ব্যবস্থা নেব।
পাঠকের মতামত