প্রকাশিত: ২৫/০৬/২০১৯ ৮:০৪ এএম

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)থেকে::
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ত্যাগী, নিবিদিত ও পদবঞ্চিত নেতাদের পক্ষে একটি স্ট্যাটাসের বিপরীতে কমেন্টস করার দায়ে ছাত্রনেতা এস,এম মোরশেদ ইকবালের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বেদড়ক মারধর করলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বদর উল্লাহ বিন্দু।
দলীয় সূত্র জানান, গত ১৬ সালের ২০ ডিসেম্বার ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা দেয় বান্দরবান জেলা কমিটি। এই কমিটির সভাপতি বদর উল্লাহ বিন্দু,সহ-সভাপতি মো,ইব্রাহীম খলিল,সাধারণ সম্পাদক উবাচিং মার্মা,যুগ্ন-সম্পাদক রেজাউল করিম,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দু রহমান বাপ্পী ও হেনসেন শর্ম্মা। দীর্ঘ আড়াই বছর পর এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবাচিং মার্মা সরকারী চাকুরীতে যোগদান করায় গত ১৯ মে যুগ্ন-সম্পাদক রেজাউল করিমকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ঘোষণা দেয় জেলা কমিটি । পরে ৬সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের যোগ সজসে গোপনে অর্থ বিনিময়ে অছাত্র,রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্য, ইয়াবা কারবারীতে লিপ্ত থাকা এমন ব্যক্তি নিয়ে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইয়ারা কারবারী ও রোহিঙ্গা গোষ্ঠির সদস্যদের চিহ্নিত কয়েক জনের নাম বাইরাল হওয়ার পর গত জুন নবগঠিত কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক রাসেল সৌরবের হাতেনাতে ১লাখ ৪০ হাজার পিস করে র‍্যাব। এর পর সৌরভ র‍্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
এই নিহত ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নব- কমিটিকে বিতর্কিত ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পদবঞ্চিত ত্যাগী ও নিবেদিত নেতা পক্ষে আহত ছাত্রনেতা মোরশেদ ইকবাল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ।
আর এদিকে সন্ধ্যায় আহত মোরশেদ ইকবাল নিজ বাড়ীর উদ্যোশে ফিরার পথে গতি রোধ করে লাঠি সুঠা নিয়ে বেদড়ক মারধরে সু-চিৎকার করলে পথচারিরা এগিয়ে আসলে সভাপতি সু-কৌশলে মোরশেদ ইকবালকে গেনঞ্জির কলার চেপে ধরে আওয়ামীলীগ নেতার তসলিম ইকবাল চৌধুরীর ঘরের আঙ্গিনায় নিয়ে আবারও মারধর করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রফিকুল ইসলাম রেজভীর নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে উল্লেখ করেন,”সবসময় ছাত্র রাজনীতিতে ধনি-গরিব, পাহাড়ি-বাঙালির সমতা প্রতিষ্ঠার কাজ করছে সভাপতি বদর উল্লাহ বিন্দু। ওই স্ট্যাটাসের বিপরীতে আহত এস,এম,মোরশেদ ইকবাল কমেন্টে করেন,”ভাই সবসময় ধনি-গরিব যখন ভেদা-ভেদ করে নাই, আজ সেই মানুষটি ছাত্রলীগের মূখে চুনখালি দিয়েছ।
তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, সদ্য ঘোষিত কমিটির কথিপয় সদস্য বির্তকিত থাকায় ত্যাগী নেতারা ক্ষোভদ্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে এস্ট্যাটস ভাইরাল হয়। একে কেন্দ্র করে ছাত্রনেতা মোরশেদ ইকবালের উপর দু,দফা হামলা চালিয়েছে সভাপতি বদর উল্লাহ বিন্দু। আমি দলীয় সিনিয়র দায়িত্বে থাকার পরও আমার সামনে ক্ষিপ্ত হয়ে লাথি-ঘুষা মারতে থাকায় এক পর্যায়ে মোরশেদ ইকবাল অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...