
আবুল আলী, টেকনাফ::
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচার নির্যাতন চলছে। ফলে প্রাণ রক্ষায় দলে দলে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে। রাখাইন রাজ্য বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে জাতিগত নিধনের শিকার। মিয়াময়ন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ক্লান্ত হয়ে নালার পানিতে হাত-মুখ পরিষ্কার করছে।
বিশুদ্ধ পানি না পেলেও আশপাশের পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতেই কাদামাটি পরিষ্কার করছে তারা, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব দূষিত পানি পান করে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সুমাই আক্তার (১১)। মংডুর হাওয়ারবিল এলাকার তার মা-বাবা ভাই-বোনকে দেশে রেখে চলে আসছি বাংলাদেশে। পালিয়ে আসছি আমার চাচা পরিবারের সাখে এই দেশে আমার কেউ না আছে চাচা পরিবার তারা যেখানে নিয়ে যায় সেখানে যাব। একেবারে নিঃস্ব অবস্থায় বর্তমানে আশ্রয় হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তে। এখন অতীত নিয়ে তার কোনো চিন্তা নেই। সব চিন্তা বর্তমানকে ঘিরে।
কথা হয় তার চাচা সঙ্গে, বাংলাদেশে আসার পর থেকে ভাইয়ে মেয়ের সুমাই আক্তার জ্বর ও কাশি। কোনো ডাক্তারের কাছে যেতে পারছি না হাতে কোন টাকা নাই। এখানে আমি তো কাউকে চিনি না। হোয়াইক্যং ল্মবা বিল এলাকার মিয়ানমার থেকে আসে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তার ভাই মেয়ে। মিয়ানমারের সেনারা আমাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়। এরপর উদ্দেশ্যহীন যাত্রা। মিয়ানমারের পাহাড়-জঙ্গলে নিদ্রাহীন দু’দিনের পথচলা। এরপর নাফ নদী পার হয়ে টেকনাফ সীমান্তে প্রবেশ। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘোরাঘুরির ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশুটি।
পাঠকের মতামত