
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এক নারীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব ও এক লাখ টাকা ঘুস দাবির অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের এক উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।
সম্প্রতি এলাকায় এ ঘটনা জানাজানি হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. শামিম মিয়া। তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজার কার্যালয়ে উপপরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী গত ১৮ ডিসেম্বর কক্সবাজারের চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দিয়েছেন। মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা এলাকার রামপদ দে-এর ছেলে উজ্জ্বল কুমারকেও। মামলার বাদী ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি চকরিয়া পৌরসভায়।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিবিআই’র উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামিম মিয়া বলেন, ওই নারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। মামলা তদন্তে করতে গিয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিই। এরপর বিভিন্ন সময় ওই নারীর ইমো নাম্বারে কথা হয় তার সঙ্গে। বিভিন্ন সময় গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে তার কথা হয়েছে। ম্যাসেঞ্জারে ভুলবসত ওই নারীর সঙ্গে তার কিছু অশ্লীল বাক্য বিনিময় হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা শামিম মিয়া স্বীকার করেন। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।
পিবিআই কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ছয় মাস আগেই এসআই শামীম কক্সবাজার পিবিআই থেকে বদলি হয়ে নোয়াখালী জেলার পিবিআই অফিসে যোগ দিয়েছেন। তিনি ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। সুত্র: দৈনিক যুগান্তর
পাঠকের মতামত