প্রকাশিত: ১০/০৫/২০২০ ৩:৩৭ পিএম

সাতটি শর্ত মানলে এনজিও কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। শনিবার (৯ মে) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি।

ইতোমধ্যেই আদেশের কপি দেশের সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন, ২০০৬ এর ধারা ৯ (চ) ও ধারা ৪৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এনজিও কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে সাত শর্ত দেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে

১. করোনাভাইরাস রোগের প্রসার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ দাফতরিক প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

২. কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ছাড়া দর্শনার্থী বা সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অফিসে আসা নিরুৎসাহিত করা এবং নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অফিসে উপস্থিত সবার মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. সেক্টরে প্রচলিত সমিতির সভা বা উঠান বৈঠক পরিহার করে ২ নং ক্রমিকে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণের পাশাপাশি যথাসম্ভব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহক পর্যায়ে সেবা প্রদান করতে হবে।

৪. নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে অফিসে অবস্থান না করা এবং একই সময়ে প্রয়োজনা ছাড়া কর্মী অফিসে উপস্থিত থাকা হতে বিরত থাকতে হবে।

৫. অফিস ও অফিসে উপস্থিত সবাইকে জীবাণুমুক্ত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৬. মহানগর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক লকডাউন ঘোষণাকৃত এলাকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে ওই এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৭. সরকার কর্তৃক সময়ে ঘোষিত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে জরুরি ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা, জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকের সঞ্চয় ফেরত, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে রেমিটেন্স সেবা প্রদান, এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যক্রম পরিচালনা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের মতো জরুরি কার্যক্রমসমূহের পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে।

এছাড়া এসময়ে দেশে বোরো ফসল কাটাসহ নতুনভাবে চাষাবাদ সম্পন্ন করা অশস্য কৃষি উদ্যোক্তাদের (মৎস্য, লাইভস্টক, পোলট্রি ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট) নতুনভাবে বিনিয়োগ বা বিদ্যমান কার্যক্রম পরিচালনার ব্যয় সংকুলানসহ বর্তমান সময়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাগণের ঋণের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে বলে বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যাচ্ছে। এ অবস্থায় বর্ণিত খাতসমূহে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ অব্যাহত রাখা জরুরি মর্মে প্রতীয়মান হয়।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

পাঠকের মতামত

ফের লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারও চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব কমিটি স্থগিত

শাহবাগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ। ছবি: সংগৃহীত কেন্দ্রীয় ...

শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন নম্বর যুক্ত করার নির্দেশ

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে বাবা-মা বা অভিভাবকের ফোন নম্বর সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন ...