
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিল নখের আঁচড়। ভারতের সোনারপুরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে নখের আঁচড়ের সূত্র ধরেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে সোনারপুর থানার অন্তর্গত লস্করপুরের লেনিননগরে নিজের ঘরের ভিতর থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে কিশোরীর প্রেমিক তাপস বলে এক যুবককে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু এর পরেই পুলিশ খবর পায়, অমিত রায় নামে স্থানীয় এক যুবকের মুখে এবং সারা শরীরে আঁচড়ের দাগ দেখা গিয়েছে। এর পরেই পুলিশ ওই যুবককে আটক করে জেরা শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর আগেও এলাকার অনেক মহিলাকে কটুক্তি করেছে ওই যুবক। শুধু তাই নয়, সবসময়েই সে মদ্যপ অবস্থায় থাকত। জেরার মুখে ধৃত অমিত নিজের দোষ স্বীকার করেছে বলেই পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়েই গভীর রাতে ঘরের বেড়া ভেঙে কিশোরীর ঘরে ঢুকেছিল অমিত। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণে বাধা দেয় ওই কিশোরী। বাধা পেয়েই কিশোরীকে খুন করে অভিযুক্ত যুবক। ধস্তাধস্তির সময়ে অভিযুক্ত যুবকের শরীরে কিশোরীর নখের আঁচড় লেগে যায়। আর সেই সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিশোরীর ধর্ষণ হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।কলকাতা২৪
পাঠকের মতামত