উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২/০৯/২০২২ ৯:৫৩ এএম

লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবায় প্রথমবারের মতো কোনো মসজিদ তৈরি হচ্ছে। রাজধানী হাভানায় এ মসজিদটি স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার। সৌদি আরবে নিযুক্ত হাভানার রাষ্ট্রদূত এ তথ্য জানিয়েছেন।

দ্য ন্যাশনাল নিউজ ও মিডলইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে হাভানার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির গঞ্জালেজ বলেন, সৌদি আরবের দেওয়া অনুদানের কারণে আমরা দেশের প্রথম মসজিদ পেতে যাচ্ছি।

কিউবায় একটি ছোট মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে এবং তারা খুবই সংগঠিত বলে জানান গঞ্জালেজ। তিনি বলেন, কিউবায় মুসলিম জনগণের জীবনকে কিছুটা সহজ করতে পেরে আমি সম্মানিত অনুভব করছি।

গত বছর সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের একটি প্রতিনিধি দল কিউবা সফর করে এবং মধ্য কিউবায় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রকল্প উদ্বোধন করে। সে সময় প্রতিনিধি দল হাভানায় কিং সালমান মসজিদ প্রকল্পটিও পরিদর্শন করে। মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হবে আনুমানিক ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার।

খবরে বলা হয়, ছোট্ট দেশ কিউবায় মুসলমানদের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। ধারণা করা হয়, দেশটিতে আনুমানিক নয় হাজার মুসলিম রয়েছে। তারা বাড়িতে বা অস্থায়ী কোনো নামাজের জায়গায় নিজেদের নামাজ আদায় করে নেন। তবে জুমার নামাজ আদায় করা হয় কাসা দে লস অ্যারাবেসে বা আরব হাউস।

আরব হাউসে সাধারণত বিভিন্ন দেশের নিযুক্ত মুসলিম কূটনীতিক এবং পর্যটকরা নামাজ আদায় করে থাকেন। নামাজের এই স্থানটি ছিল ধনী এক আরব অভিবাসীর। ১৯৪০ এর দশকে তারা কিউবায় বসবাস করতেন এবং পরবর্তী সময়ে আন্দালুসিয়ান স্থাপত্য নকশা অনুসারে বাড়িটি নির্মিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত সেখানেই দেশের একমাত্র জুমার নামাজ আদায় করা হয়।

গঞ্জালেজ বলেন, সৌদি আরবই প্রথম আরব দেশ যারা কিউবার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। হাভানার সাথে রিয়াদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৫৬ সালের দিকে।

২০১৫ সালে তুরস্ক ও সৌদি আরব ক্যারিবিয়ান দেশে মসজিদ নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সেই সময়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছিলেন, আঙ্কারা এ বিষয়ে কিউবার সম্মতির অপেক্ষা করছে। কিন্তু তার আর জবাব মেলেনি।

পাঠকের মতামত

ইরানের ভয়ে তটস্থ ইসরায়েল!

ইসরায়েলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা আসন্ন বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ...