ডেস্ক রিপোর্ট::
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার আপত্তি থাকলেও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়াই পুরোপুরি নিরাপদ ও সঠিক মনে করছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় তাদের স্থানান্তরে নোয়াখালীর উপকূলে ভাসানচরে ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরে তাদের স্থানান্তর করা হবে।
গত আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৭ লাখ রোহিঙ্গার ২ লাখ আছে পাহাড়ের ঢাল ও পাদদেশে। বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে আছে তারা। তাই জীবনের নিরাপত্তায় তাদের সাময়িকভাবে নোয়াখালীর ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে সেখানেও দুর্যোগের ঝুঁকি আছে বলে মনে করছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় অবশ্য বলছে, নৌবাহিনীর উদ্যোগে অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য সুবিধাসহ ভাসানচরকে সম্পূর্ণ বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে।
নতুন যেকোনো দুর্যোগ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ রাখার উদ্যোগের প্রশংসা করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক মহল থেকে মিয়ানমারকে আরো চাপ দেয়া উচিত।
সেই প্রত্যাবাসন দেরি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ রাখার নানামুখি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে কমিটি গঠন হয়েছে। তাদের জীবনমানের উন্নয়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কুটিরশিল্প ও কৃষিকাজেও অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
আরও দেখুন সামিয়া রহমান প্রিমার ভিডিও রিপোর্টে
পাঠকের মতামত