প্রকাশিত: ০৫/০১/২০১৮ ১১:৪৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৮:২৮ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
বিডিআর বিদ্রোহের আলোচিত মুখ সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ তোরাব আলী (৮০) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।শুক্রবার ভোর চারটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াছুর রহমান বাবলু পরিবর্তন ডটকমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি তোরাব আলী মারা গেছেন। তার মরদেহ ঢামেক মর্গে রয়েছে। কারাগার থেকে কাগজপত্র যাওয়ার পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

তোরাব আলী অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪৮ নং (বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণের ২২ নং) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের মামলায় তিনি গ্রেফতার হন।

গতবছরের ২৭ নভেম্বর আলোচিত বিডিআর হত্যা মামলা থেকে খালাস পান মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের রায়ে তিনি খালাস পান।

তবে খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করায় তিনি কারাগারেই ছিলেন। গত বুধবার অসুস্থবোধ করলে তোরাব আলীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শুক্রবার তিনি মারা গেলেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।

এর আগে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে ৩০২ ধারায় তোরাব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাসদস্যসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

ওই ঘটনার পর তোরাব আলীর বিরুদ্ধে বিডিআরের একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিকল্পিত এ বিদ্রোহের কথা তিনি আগেই জানতে পারেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ঘটনা জেনেও তা কর্তৃপক্ষকে না জানানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান বিচারিক আদালতে তাকে দণ্ড দিয়েছিলেন।

পরে ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের হাইকোর্টের বিশেষ (বৃহত্তর) বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি হয়। গতবছরের ১৩ এপ্রিল ৩৭০ কার্যদিবসে সেই শুনানি শেষ হয়। এরপর ২৭ নভেম্বর আপিলের রায়ে খালাস পান তোরাব আলী।

পাঠকের মতামত

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভল্ট ঘিরে রেখেছে পুলিশ

রাজধানী‌র ধোলাইখা‌লে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এ‌নে‌ছে ফায়ার সা‌র্ভিস। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ব্যাংকের ...

‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজতে হবে’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ...