প্রকাশিত: ১৮/১২/২০১৭ ২:৩২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৯:২৬ এএম

নিউজ ডেস্ক: মিয়ানমারে মুসলমান সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের অনুমোদন সে দেশের নেত্রী অং সান সু চির অনুমোদনেই হয়েছে বলে ধারণা করছেন জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জাইদ রাদ আল হুসেইন।
এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি বলছেন।
বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়গুলো দেখভাল করে জাতিসঙ্ঘের এই প্রতিষ্ঠানটি, যার প্রধান হুসেইন।
বিবিসিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘’যে মাত্রায় এবং যেভাবে সেখানে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, তা অবশ্যই দেশের উঁচু পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।”
হুসেইন বলছেন, ‘’এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের একসময়ে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।”

যদিও এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি আং সান সু চি, যিনি একসময় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
বিবিসিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার যেইদ রাদ আল হুসেইন বলেছেন, যে মাত্রায় এবং যেভাবে সেখানে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, তা অবশ্যই দেশের উঁচু পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিবিসির সংবাদদাতা জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, ‘’মিয়ানমারের নেতাদের ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি দাড়াতে হতে পারে, জাতিসঙ্ঘের এই নজরদারি প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের এই বক্তব্য খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।”
এ মাসের শুরুর দিকেই জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে দেয়া বক্তব্যে হুসেইন বলেছিলেন, মিয়ানমারে যে ব্যাপক বা পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে, তাতে গণহত্যার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাবে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্টের পর জাতিসঙ্ঘের সদস্য দেশগুলো একটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে কোনো গোত্রকে নিশ্চিহ্নকে করার চেষ্টাকে গণহত্যাকে বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
কিন্তু তার এই বক্তব্যের পর কি অং সান সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা পারে?
জাস্টিন রোল্যাট বলছেন, মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছে কিনা, সেটি প্রমাণের দায়িত্ব যেইদ রাদ আল হুসেইনের নয়। কিন্তু তিনি হয়তো আন্তর্জাতিক একটি তদন্ত চাইতে পারেন।
যদিও হাই কমিশনার বলছেন, সেটিও কঠিন একটি কাজ। তিনি বলছেন, ‘’কেউ যদি গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করে, সেটি তো তারা কাগজ কলমে করবে না। হয়তো আপনি কোনো নির্দেশনার প্রমাণও পাবেন না। তবে এখন আমরা যা দেখছি, তার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে কোনো আদালত যদি এরকম কোন তদন্তের আদেশ দেয়, তাতে আমি অবাক হবো না।”
অগাস্টে এই অভিযান শুরুর পর সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শত শত গ্রাম পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সেখানে ব্যাপক হত্যা আর গণধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা।
সূত্র: বিবিসি

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...