স্থানীয় মেম্বারের সালিশ ব্যর্থ, প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর
সীমানা বিরোধ ঘিরে রত্নাপালংয়ে উত্তেজনা,


উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লারডেবা এলাকায় জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে
আসা বিরোধ নতুন মোড় নিয়েছে। প্রবাস ফেরত আনোয়ারুল ইসলাম ও হাফেজ কলিম
উল্লাহ পরিবারের মধ্যে এ বিরোধ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আনোয়ারুল
ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ করেছেন, তার নিজ জমির ভেতরে লাগানো চারাগাছে বিষ
প্রয়োগ করে ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
জানা যায়, আনোয়ারুল ইসলাম সম্প্রতি
দুবাই থেকে ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। নিজের জমিতে বিশাল সুপারি গাছের চারা রোপণ
করেন। তিনি দাবি করেন, গাছগুলো তার সীমানার ভেতরে লাগানো হলেও হাফেজ কলিম
উল্লাহর লোকজন তা মেনে নেয়নি। এরই মধ্যে এক রাতে তার চারাগাছে বিষ প্রয়োগ করে
ব্যাপক ক্ষতি করা হয় বলে অভিযোগ আনোয়ারের। তিনি বলেন, আমি আমার জমিতেই
গাছ লাগিয়েছি। কারো জমি দখল করিনি। এরপরও আমার গাছগুলোতে বিষ প্রয়োগ করা
হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবে আমাকে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা।বিষয়টি
সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন (মেম্বার আবুলো) দুই
পক্ষকে নিয়ে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করেন।
তবে উভয় পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য থাকায়
বিচার নিষ্পত্তিহীন থেকে যায়। এর পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ
করছে।অন্যদিকে, হাফেজ কলিম উল্লাহ বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার বক্তব্য
পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার বড় ছেলে আইমন করিম জানান, আমরা চাই না ঝামেলা
হোক। আনোয়ার চাচার জমি থেকে এক বিঘত দূরে গাছ লাগিয়েছেন। তবে গাছ নষ্ট করার
অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা এ কাজ করিনি।স্থানীয়রা বলছেন, ধানী জমির সীমানা ঘেঁষে
গাছ রোপণ ও পরবর্তীতে গাছের ক্ষতির অভিযোগ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চরম অবিশ্বাস
সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সীমানা বিরোধের কারণে সম্প্রতি
কুতুপালংয়ে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখনই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও
খারাপ হতে পারে।এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে সঠিক সীমানা
চিহ্নিত ও গাছের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি যাচাই করা হোক। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও
বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার অনুরোধ জানান তারা।
পাঠকের মতামত