নিউজ টাইমস্::
ভোর ৫টা। পুলিশের কাছে খবর আসে, মাইক্রোবাসে করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার হচ্ছে। সীতাকুণ্ডে ওই মাইক্রোবাসটিকে আটক করেও ইয়াবার সন্ধান মিলছিল না। পরে পুলিশের দেওয়া অর্থের লোভে পড়ে পাচারকারীরা ইয়াবার সন্ধান দেয়। পরে ২৭ হাজার ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ডুলাহাজারা এলাকার জুয়েল কান্তি দে (৩৩) ও রামু থানার জোয়ারীনালা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মো. শাহাজাহান (২২)।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীতাকুণ্ড সার্কেলের এএসপি শম্পা রানী সাহার নেতৃত্বে ওসি ইফতেখার হাসান ও ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল মহাসড়কের বড়দারোগারহাট ওজন স্কেল এলাকায় চেকপোস্ট বসান। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাইক্রোবাসটি সেখানে পৌঁছলে থামার সংকেত দেওয়া হয়। তবে গাড়িটি না থামিয়ে সোজা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলেও পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় দুজন গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। বাকি দুজনকে মাইক্রোবাসসহ আটক করে পুলিশ। এরপর পুরো গাড়ি চিরুনি তল্লাশি করেও ইয়াবার সন্ধান মিলছিল না।
পরে চালক জুয়েল কান্তি দে ও সহকারী শাহজাহানকে পৃথক স্থানে নিয়ে কৌশলে গল্প শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে শাহজাহানকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে ইয়াবার সন্ধান দিতে বলা হয়। সঙ্গে এও বলা হয়, সত্য বললে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরপর সে গাড়ির পেছনের দিকে স্থাপন করা অতিরিক্ত একটি চাকার ভেতরে রাখা ইয়াবার প্যাকেট দেখিয়ে দেয়। তখন সেখানে ২৭ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পাঠকের মতামত