প্রকাশিত: ১২/০১/২০২২ ৭:১৩ এএম

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আদালতের দিনের কার্যক্রম শুরু করা হয়। আগামীকাল বুধবার এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের শেষ দিন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ আসামি বরখাস্ত পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকতের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী চন্দন কুমার দাশ এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত তাঁদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। প্রদীপের পক্ষে রানা দাশ গুপ্তের যুক্তিতর্ক অসমাপ্ত রেখেই আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল বুধবার অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক শুরু করা হবে। গতকাল সোমবার এ মামলার যুক্তিতর্কের দ্বিতীয় দিনে ১৩ জন আসামির পক্ষে আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।

আদালতের কার্যক্রম শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে রানা দাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের জানান, এই মামলাটি শুরু থেকেই আইনের গতিতে চলছে না। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী র‍্যাবকে দিয়ে এ মামলা তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মেজর সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে। তা আমরা আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ মামলায় ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলদের বাঁচানোর জন্য আদালতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তিতর্ক শেষে এ মাসেই আলোচিত এ মামলার রায় হওয়ার আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।

এর আগে সকাল নয়টার দিকে জেলা কারাগার থেকে কড়া পুলিশ পাহারায় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের পর র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...