
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ ::
টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জামেয়া আহমদিয়া বাহরুল উলুম বড় মাদরাসার প্রধান পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা হোসাইন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জানা যায়, ২৭ নভেম্বর সোমবার রাত পৌনে দুইটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। মাওলানা হোছাইন আহমদ দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস ও প্রেসার রোগে ভুগছিলেন। রবিবার ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে টেকনাফ সদর হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সোমবার ২৭ নভেম্বর দুপুর আড়াইটায় মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্টিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন বড় পুত্র একই মাদ্রাসার জমাতে পঞ্জুমের ছাত্র হাফেজ মসউদ। তাঁর জানাজার নামাজে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি মাওঃ সাইফুল ইসলাম সাইফীর পরিচালনায় অনুষ্টিত নামাজপুর্ব আলোচনায় মরহুমের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এবং আতœার মাগফিরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ পৌর সভার মেয়র প্যানেল-১ মাওঃ মুজিবুর রহমান, সাবরাং দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক (মুহতমিম) আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ, নয়াপাড়া জামিয়া ফারুকিয়ার প্রতিষ্টাতা পরিচালক (মুহতমিম) আলহাজ্ব মাওঃ মাহবুবুর রহমান মাজাহেরী, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওঃ নুরুল হক, টেকনাফ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়ার সহকারী পরিচালক মাওঃ রফিক, স্থানীয় মেম্বার ফজলুল হক, আলহাজ্ব সোনা আলী, জামাতা মাওঃ রেজাউল করিম, পুত্র হাফেজ মসউদ।
মৃত্যুকালে তিনি ৭ মেয়ে, ৩ ছেলে, স্ত্রী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আতœীয়-স্বজন রেখে যান। ১৯৩৩ ইংরেজীতে প্রতিষ্টিত শাহপরীরদ্বীপ জামেয়া আহমদিয়া বাহরুল উলুম বড় মাদরাসার প্রধান পরিচালক (মুহতমিম) হিসাবে ২০০০ ইংরেজী থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পাঠকের মতামত