ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৮/০২/২০২৫ ১২:১২ পিএম

কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের উন্নত ফোরজি সেবা দিতে চায় টেলিটক। প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাষ্ট্রীয় অপারেটরটি। যা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শুধু নেটওয়ার্ক স্থাপন নয়; রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রির অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছে টেলিটক।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। হ্যান্ডসেটগুলো একই সঙ্গে মিয়ানমার এবং স্থানীয়দের যোগসাজশে নেয়া দেশীয় অপারেটরদের সিম ব্যবহার হচ্ছে।

এ অবস্থায় ‘কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অভ্যন্তরে ও পার্শ্ববর্তী সংযোগ সড়কগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন কভারেজ দেয়ার জন্য ফোরজি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ‘শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে টেলিটক। যার আওতায় উখিয়া ও টেকনাফের কুতুপালং, হাকিমপাড়া, জামতলি, উনচিপ্রাং, সামলাপুর, চাকমারকুল, লেদা এলাকায় ৩৩টি টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। ১২ মাস মেয়াদি এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। যা আসবে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে।

টেলিটক সূত্র বলছে, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য এরই মধ্যে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদনের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রির অনুমতি নিতে বলেছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

অনুমতি চেয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে টেলিটক। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হয়নি অপারেটরটি।

বিটিআরসি বলছে, সীমান্ত এলাকায় টাওয়ার স্থাপনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে টেলিটককে। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র নেই। পরিচয়পত্র ছাড়া কীভাবে নেটওয়ার্ক সেবা ও সিম দেয়া হবে সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত দেবে। সিদ্ধান্ত পেলেই কেবল এটি বাস্তবায়ন সম্ভব।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অন্য অপারেটরাও টাওয়ারগুলো শেয়ার করতে পারবে বলে জানিয়েছে টেলিটক। সুত্র: সময় টিভি

পাঠকের মতামত

একরাম হত্যা মামলায় বদিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরামুল হককে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সংসদ ...

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হত্যা মামলায় বদিকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

সাত বছর আগে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ...