প্রকাশিত: ০৬/০২/২০১৮ ৯:২৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৭:০০ এএম
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশ যাত্রা

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

মিয়ানমারের সীমান্ত ছাড়িয়ে এ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধিরা৷ তাঁরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এ ‘হত্যাযজ্ঞ ও জাতিনিধন’ চলতে থাকলে সামনে আরো কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷

সোমবার ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান দূত জায়িদ রা’দ আল-হুসেইন বলেন, ‘‘মিয়ানমারের জন্য কঠিন সংকট আসছে, এই সংকট এই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পুরো অঞ্চলের জন্য ক্ষতিকর৷”

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশ যাত্রা

প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য

গেল সপ্তাহে মিয়ানমারের রাখাইনে গণকবর পাওয়া যাবার খবর প্রকাশিত হবার পর এমন বক্তব্য এলো জাতিসংঘের কোনো দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে৷

মিয়ানমার গণকবরের বিষয়টি বার বার অস্বীকার করলেও কোনো সাংবাদিক বা জাতিসংঘের তদন্তকারীদের সেখানে যেতে দিচ্ছে না৷ জায়িদ বলেন, রাখাইন অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সুফল ঘরে তুললেও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য চালিয়েছে মিয়ানমার সরকার৷

তিনদিনের সফরে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত সাক্ষাৎ করছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বা জোকোভি সঙ্গে৷
ওরা ছিল ‘জঙ্গি’: মিয়ানমার

রাখাইনের গণকবরের বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ঐ এলাকায় ১৯ জন ‘জঙ্গি’-কে হত্যা ও কবর দেয়া হয়েছে৷

এ বিষয়ে এপি গত সপ্তাহে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোবাইল ফুটেজও নিজস্ব অনুসন্ধান থেকে রিপোর্ট করেছিল যে, রাখাইনের গু দার পিইয়িন গ্রামে অন্তত পাঁচটি গণকবর দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ সেখানে প্রায় চারশ’ লোককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে৷

ঐ প্রতিবেদনের পরই মিয়ানমার তাদের জঙ্গি আখ্যায়িত করেছে এবং সংখ্যাটি ১৯ জনের বেশি নয় বলে জানিয়েছে৷

মিয়ানমারের সরকারি তথ্য কমিটি তাদের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘গু দার পিইয়িন গ্রাম সম্পর্কে এপি যে প্রতিবেদন ছেপেছে, তা সত্য নয়৷”

জাতিসংঘের উদ্বেগ

সব অভিযোগ অস্বীকার করা মিয়ানমারের সাংবাদিক ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের রাখাইনে যেতে না দেয়ার কড়া বিধি নিষেধ নিয়ে খুবই শঙ্কায় ফেলেছে জাতিসংঘকে৷

সংস্থাটির মহাসচিবের এক মুখপাত্র গেল সপ্তাহে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ৷ রাখাইনে প্রবেশে মিয়ানমারের আপত্তিকে তারা খুব সন্দেহের চোখেই দেখছেন৷

এর আগে গত মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১০ জন রোহিঙ্গার একটি গণকবরের কথা স্বীকার করেছিল৷ তখন মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘সাগরের এক বিন্দু’ বলে অভিহিত করেছিল৷

মাইনে পা হারালেন বাংলাদেশি

এদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোতা মাইনে দুই পা হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি কৃষক৷ মাইনটি দু’দেশের সীমানার মধ্যকার বাফার জোনে পোতা হয়েছিল৷ শনিবার নাইক্ষংছড়িতে এ ঘটনা ঘটে৷

৪৫ বছর বয়সি ঐ কৃষকের নাম বদিউর রহমান৷ তিনি তাঁর গরু আনতে গিয়েছিলেন৷

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন যে, মিয়ানমার মাইন পুতে রোহিঙ্গাদের ফেরত আসা আটকে দিতে চাইছে৷ তারা আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করছে না বলেও অভিযোগ তাঁদের৷

পাঠকের মতামত

ব্র্যাকের আয়োজনে ‘যুব ক্যারিয়ার ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার তাগিদ বিশিষ্টজনদের দেশে চাকরির তুলনায় চাকরিপ্রত্যাশীর সংখ্যা ...

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদনসীমান্তে ডজনখানেক সশস্ত্র আরাকান আর্মির অবস্থান, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়

সোমবার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির (এএ) এক সশস্ত্র সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ...

মিয়ানমারে প্রতিনিধি দল পাঠাবে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়াসহ ৫ দেশ

মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ...