দিদারুল আলম (জিসান),রামু::
কক্সবাজার সদর-রামু উপজেলার একজন নিয়মিত সাংবাদিক আব্দুল মালেক সিকদার। আজ ০৯ মে, ২০১৮ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানের ছড়া বলি পাড়া এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ কালে ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক আব্দুল মালেক সিকদার। জানা যায়, সাংবাদিক আব্দুল মালের গত এক যুগ ধরে কক্সবাজার বাণী, আমাদের কক্সবাজার, রামু নিউজ টাইম, কক্সবাজার নিউজ ডটকমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিড়িয়া এবং অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। এরই পেক্ষাপটে ০৯ মে, ২০১৮ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সে নিজে তার নিজস্ব ব্যবহৃত মোটরযান নিয়ে রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানের ছড়া বলি পাড়া এলাকায় সরকারী বন বিভাগের পাহাড় কাটার সংবাদ পেয়ে উক্ত স্থানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আব্দুল মালেক সিকদার। খবর পেয়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ভূমি দস্যু ১৪ হত্যা মামলার আসামী আব্দুল গফুরের ছেলে ত্রাশ ফরিদুল আলম (৩২), মোহাম্মদ আলমের পুত্র শহিদ উল্লাহসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জন যুগসাজসে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মোটরবাইক কেড়ে নিয়ে তাকে অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার চোখের উপর আঘাত করে। তার হাতে পায়ে গাছের লাঠি ও লোহার রড় দিয়ে ব্যাপক আঘাত করে। ইতিমধ্যে তার অবস্থা আশঙ্গাজনক। প্রত্যক্ষদর্শিদের সহায়তায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গুরুতর আঘাতের কারণে তার হাত-পা ফুলে গেছে। আমরা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি, রিপোর্ট আসার পর স্পষ্ট ভাবে বলা যাবে আঘাতের ব্যাপার। তবে এখন সাংবাদিক আব্দুল মালেকের অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ত্রাশ ফরিদুল আলম হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন সাংবাদিক নাকি তার শত্রু, সাংবাদিক দেখলে তার মাথা গরম হয়ে যায়। সাংবাদিককে খুন না করলে তার মাথা ঠিক হবে না বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে এক ডজনের উপরে মামলা থাকলেও আইন শৃঙ্গলা বাহিনীর নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ত্রাশ ফরিদ। ফরিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ত্রাশ ফরিদ ও শহিদ উল্লাহর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তাদের জিম্মিতে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ের পানের ছড়া বলি পাড়া এলাকার মানুষ তাদের কথা উঠে-বসে এবং কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করতে গেলে তার পোষা দালালরা তাকে মোবাইলের মাধ্যমে খবর পৌছে দেয়, যার কারণে সে এখনও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাগালের বাইরে। অসহায় সাংবদিক আব্দুল মালেক সিকদারের এক স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে দুই সন্তান রয়েছে। তার পরিবার এখন নিস্ব হয়ে গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসার টাকা পর্যন্ত তাদের যোগাড় নাই বলে জানান তার স্ত্রী। এদিকে সাংবাদিকের উপর হামলা এবং নির্যাতন কখনো মেনে যাওয়া যাবেনা বলে হুুশিয়ারি দিয়েছেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা এবং রামু প্রেস ক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম সিকদার, উপজেলা সভাপতি আব্দুল কালাম সিকদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক দিদারুল আলম জিসানসহ অসখ্য সাংবাদিকবৃন্দ। আমাগীকাল কক্সবাজারসহ সারাদেশে সাংবাদিক হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন হবে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। অন্যদিকে আব্দুল মালেক সিকদারের উপর হামলার খবর পাওয়া মাত্র রামু থানার বিপ্লবী তদন্ত ওসি সাথে সাথে থানায় কোন ফোর্স না থাকা স্বর্তেও স্পেশাল ফোর্স ঘটন করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মালেক সিকদারকে উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালিয়েছেন রামু থানার পুলিশের টিম। রামু থানার ওসি(তদন্ত) এস.এম মিজানুর রহমান জানিয়েছেন,্ এখনও পর্যন্ত ভিকটিমের লিখিত অভিযোগ বা এজাহার আমাদের হাতে এসে পৌছাইনি। অভিযোগ হাতে আসলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পাঠকের মতামত