উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩/১০/২০২২ ১:৫৬ পিএম

কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় ওসমান (৩০) নামে এক ফল ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে মোহাজের পাড়ার ট্যাংকি পাহাড় এলাকার নিহতের নির্মানাধীন বসতবাড়ির বিছানা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওসমান একই এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে।
নিহত ওসমানের ভাগিনা মোহাম্মদ শামীম বলেন, বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমার মামা, তার দোকানের কর্মচারী ছৈয়দ নুর ও মামার বন্ধু হাবিবুল্লাহ ওরফে সুন্দর সহ ৫/৬ জন ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তারা সেখানে হাসি ঠাট্টায় মত্ত ছিলেন। এমনটা দেখে আমি ঘুমাতে যাই। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে মামার রুমে লাইট জ্বলছে তা নিভাতে কক্ষে আসি। এসে দেখি এলোমেলো বিছানায় মামার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় মো. আজাদ বলেন, ওসমান গেল ১ বছর যাবৎ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়ক এলাকায় ফলের ব্যবসা করে। প্রতিদিন সকালে যায় রাতে ফিরে। বাসায় তিনি একাই থাকেন। তার একতলার ভবনটি এখনো নির্মাণাধীন। দরজা. জানালা এখনো লাগানো হয়নি।
তিনি বলেন- বুধবার রাতে ওচমানের কয়েকজন বন্ধু তার (ওচমান) বাড়িতে এসে ছাদে আড্ডা দেন বলে প্রতিবেশিরা দেখেন। রাতভর তারা ছাদে আড্ডা জমান। এরপর সকালে তার জবাই করা লাশ।

এদিকে স্থানীয়দের একটি সূত্র জানায়, ৯১সালের দিকে নিহত ওসমানের পুরো পরিবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এরপরে কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় বসবাস শুরু করেন। ছোট বেলা থেকে ওসমান জড়িয়ে পড়েন চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। গেল ১ বছরেরও আগে তার মায়ের মৃত্যুর পর ছিনতাই ছেড়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এলাকায় ফল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার হত্যাকান্ড নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, নিহতের বিরুদ্ধে আগের তিনটি মামলা পাওয়া গেছে। এছাড়া নিহত যুবক অবিবাহিত, মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেও আমরা অল্প মদ সহ মদপানের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি।
তিনি আরো বলেন, তাকে রাত ১২ টার পর থেকে ভোরের মধ্যে খুন করা হয়েছে। হত্যার আগে তিনি বন্ধু, কর্মচারীদের সাথে ছাদে বসে মদপান করে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই আসরে থাকে হাবিবুল্লাহ ও ছৈয়দ নুর কে আমরা হেফাজতে নিয়েছি।
ওসি তদন্ত আরো বলেন, ব্যবসায়িক ঝামেলা, পূর্বের ছিনতাইকারী গ্রুপ, নারী সংক্রান্ত জটিলতা সহ সব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এই হত্যার কারণ ও কে বা কারা এর পেছনে জড়িত তা জানার চেষ্টা করছি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ আলামত সংগ্রহ করেছেন। আশা করছি খুব শ্রীঘই এই ঘটনার ক্লু উৎঘাটন এবং কারা জড়িত তা বের করা সম্ভব হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...