লেদা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসা বোর্ড পরিক্ষায় এবারও সেরা
হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ইবনে আব্বাস (রা.) আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা বোর্ড পরিক্ষায় ...
কক্সবাজারে রাজাকারের সন্তান ও জামায়াত-শিবিরসহ ভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের কাউন্সিলর তালিকা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা চেয়ে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন এক তৃণমুল আওয়ামী লীগ কর্মী।
এ নিয়ে কক্সবাজারের (উখিয়ায়) বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মঙ্গলবার (১৭ মে) ‘ঘোষণামূলক মামলা’ (অপর-৬৬/২০২২) টি দায়ের করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য জাফর আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনের জন্য গঠিত ৬ সদস্যের সাংগটনিক টিমের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আরজিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এরকম প্রশ্নবিদ্ধ কাউন্সিলারের তালিকা নিয়ে কাউন্সিল অধিবেশন করা হলে উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নাম ধরার কোন লোকই থাকবে না।
মামলার বিবাদিরা হচ্ছেন- দলীয় সাংগঠনিক টিমের প্রধান জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী, সাংগটনিক টিমের সদস্যরা যথাক্রমে ইউনুচ বাঙ্গালী, আদিল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রহমান বদি (সাবেক এমপি), নাজনিন সরওয়ার কাবেরি ও বদরুল হাসান মিলকী।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন-‘ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি গণমানুষের রাজনৈতিক দল। এ দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগটনের সর্বশীর্ষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক রীতি ও গণতান্ত্রিক চর্চা সাবলীলভাবে বিদ্যমান।’ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ দলের উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনের সাংগটনিক কর্মকান্ড তদারকির লক্ষ্যে ৬ সদস্যের সাংগটনিক টিমটি গঠণ করে। কিন্তু টিম প্রধানের নেতৃত্বে উক্ত সংসদীয় এলাকায় ‘আওয়ামী মোড়কে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগটন বিরোধী গোষ্ঠিতে রুপ নিয়েছে এবং গোপনে গোপনে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি জামায়াত ও বিএনপিকে দলে অনুপ্রবেশ করার সুযোগ করে দিয়ে আওয়ামী লীগ ধ্বংসের অপরাজনীতি ও ষড়যন্ত্র করছেন।’ খোদ সাংগটনিক টিম প্রধান শাহ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ বিরোধিতার নানা অভিযোগ মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গঠিত সাংগঠনিক টিমের সদস্যরা উখিয়া-টেকনাফের দলীয় তৃণমূলের কোন নেতা-কর্মীর সাংগঠনিক মতামতকে তোয়াক্কা না করে দলের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিগুলো গঠণ করা হচ্ছে। কমিটি গঠনের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলার তালিকা থেকে শুরু করে গঠিত কমিটিগুলোতে পর্যন্ত রাজাকার পুত্র ,জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মী ঢুকানো হচ্ছে। এসব নিয়ে বাদি স্থানীয় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দলীয় নেতাদের কাছেও কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি উখিয়ার জালিয়া পালং এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তালিকা ও গঠিত কমিটি অবৈধ ঘোষণা সহ ইউনিয়ন কমিটির কাউন্সিল অধিবেশন স্থগিত করার আবেদন জানিয়েছেন।
অপরদিকে উখিয়া-টেকনাফের সাংগঠনিক টিমের প্রধান শাহ আলম চৌধুরী জানিয়েছেন-‘ মামলার সমস্ত বিবরণই মিথ্যা ও বানোয়াট। ওয়ার্ড কমিটির কাউন্সিলর তালিকা করার দায়িত্ব স্থানীয় তৃণমূল কমিটির সদস্যদের। আমরা কেবল দলীয় কমিটি গঠনের কার্যক্রম তদারিকর দায়িত্ব পালন করে আসছি। অন্যদলের কর্মীদের দলে নেওয়ার কথাও সঠিক নয়।’ এদিকে মামলার নিয়োজিত আইনজীবী মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরী জানিয়েছেন-‘ মামলাটি আদালতে দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জবাব দেয়ার জন্য আদালত নোটিশ প্রদান করবেন বিবাদীদের। বিবাদীরা যদি হাজির না হন তাহলে মামলাটি এক তরফা সুত্রে নিষ্পত্তি হবে। সুত্র: আজকের দেশবিদেশ
পাঠকের মতামত