
এক যুবদল নেতার অসাংগঠনিক কাজ ও উচ্ছৃঙ্খলতার বিষয়ে থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া।
বুধবার (১৬ জুলাই) ওই পত্রটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নাঙ্গলকোট উপজেলার সচেতন মহলের বিভিন্ন মানুষ সেটি যার যার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করতে দেখা গেছে। ক্যাপশনে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন সবাই। এর আগে গত ২০ জুন অবহিতকরণ পত্রটি জমা দেন বিএনপি নেতা মোবাশ্বের।
বুধবার বিকেলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া কুমিল্লা ১০ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
অবহিতকরণ পত্রে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া উল্লেখ করেন, নাঙ্গলকোট পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিন উদ্দিন আমার একজন একনিষ্ঠ কর্মী। বিগত সময় আন্দোলন সংগ্রামে সে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর তার কিছু অসাংগঠনিক ও বেপরোয়া আচরণ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি তাকে সংশোধন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। তাই তার এমন উশৃঙ্খলতার জন্য দল এবং আমি ছাড় দিচ্ছি না। বিষয়টি দল ও আপনাকে অবহিত করলাম।
মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ আমাদের কোনো নেতাকর্মী যদি কোনো অপরাধ করে তার দায় দল নেবে না। তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক যেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারব না, বরং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারব। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ওই কর্মী আমার নাম ভাঙিয়ে যদি কোনো অপকর্ম করে পুলিশ যেন সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়। বাংলাদেশে বিএনপি একমাত্র পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রিয় দলে আমরা কলঙ্ক আঁকতে দেব না ইনশাআল্লাহ।
অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহিন উদ্দিনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি যে কাজটি করেছেন নিঃসন্দেহে এটি ভালো কাজ। ওই নেতা যদি কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন তাকে আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছেন। আমরা যদি ওই কর্মীর এমন কিছু পাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পাঠকের মতামত