প্রকাশিত: ২৮/০৭/২০১৮ ৩:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:০৯ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
বন্যার পানিতে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বের হাজারো মানুষকে। এ তথ্য দিয়ে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বন্যা কবলিতদের খাবার ও ত্রাণ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবকদের।

ভারী বর্ষণের কারণে কারেন ও মন রাজ্য ব্যাপকভাবে বন্যা কবলিত হয়েছে। এ অবস্থায় কয়েকদিন কেটে যাওয়ার পরও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।

কারেসের রাজধানী হাপা-আনের কিছু ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সেখানকার সড়কগুলোতে নৌকা চালিয়ে ঘুরতে হচ্ছে মানুষকে। যারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন তাদেরও যেতে হয়েছে মাজা সমান পানির ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটে। শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা নিমজ্জিত হয়েছে। মূল শহরের আশপাশে ১১টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

স্থানীয় পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাপা-আনে ৬ হাজারের বেশি মানুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন, আর মওয়াদির ৪ হাজার মানুষকে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আগে জানিয়েছিলেন, কারেন রাজ্যের আটটি শহরের ১৬ হাজার মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছে।

মন রাজ্য ও বন্যা কবলিত বাগো এলাকায় কতজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে শুক্রবার প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির বেসামরিক নেতা অং সান সু চি।

তবে এ বন্যায় এখনও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় মিয়ানমারের অবস্থান একেবারে ওপরের দিকে। ২০১৫ সালে মিয়ানমারে বন্যায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালে সাইক্লোন নার্গিসের আঘাতে দেশটিতে মৃত্যু হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের।

সূত্র : এএফপি।

পাঠকের মতামত