প্রকাশিত: ২৪/০৯/২০১৮ ২:৪৭ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
বাংলাদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ৮০০০ মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থীর তালিকায় ৫০ জন সন্দেহজনক ‘সন্ত্রাসী’র নাম পেয়েছে মিয়ানমার। এরই মধ্যে তাদের নাম বাংলাদেশের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে দেশটি। একই সঙ্গে ওই ৫০ ‘সন্ত্রাসী’কে অবিলম্বে মিয়ানমারের হাতে তুলে দেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রতি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিয়ানমার টাইমস।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ সোয়ে হান বলেছেন, কয়েক মাস আগে ৮০০০ মুসলিম শরণার্থীর যে তালিকা বাংলাদেশ দিয়েছিল তাতে ওই ৫০ জন সন্ত্রাসীর নাম রয়েছে। তিনি বলেন, এদেরকে আমরা মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অথবা বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনের অধীনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আহ্বান জানিয়েছি। এরই মধ্যে ওই তালিকায় থাকা ৮০০০ শরণার্থীর নামের ভিতর থেকে ৫২৫২টি নাম ভেরিফাই বা যাচাই করা হয়েছে। নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তাদের মধ্যে প্রায় ৪০০০ মানুষ মিয়ানমারের ভিতরে বসবাস করতো। বাকিদের মিয়ানমারে বসবাসের কোনো রেকর্ড নেই।

২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের কয়েকটি পোস্টে হামলা চালায় আরাকান রোহিঙ্গা সলভেশন আর্মি (আরসা)। এতে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হন। এরপরই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংস নির্যাতন শুরু করে রোহিঙ্গাদের ওপর। নির্বিচারে তাদেরকে গণহত্যা করে। গণধর্ষণ করে নারী ও যুবতীদের। পুড়িয়ে দেয় গ্রামের পর গ্রাম। এর ফলে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

ওদিকে ইনফরমেশন কমিটি বলেছে, এক হাজারের বেশি ‘সন্ত্রাসী’কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরসার ওই হামলার পর। অন্যরা পালিয়ে গেছে বাংলাদেশে অথবা সাধারণ নাগরিক হিসেবে বসবাস করছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভিতর একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তাতে বলা হয়েছে, যদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত না থাকেন তাহলে ফেরত যাওয়া শরণার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না।

পাঠকের মতামত