আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫/০২/২০২৪ ৯:১৫ এএম

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বেড়েই চলেছে। জাতিগত বিদ্রোহীরা গত বুধবার অস্ত্র ও গোলাবারুদভর্তি সেনাবাহিনীর পাঁচটি ট্রাক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তানিনথারি অঞ্চলে ঘেরাও দিয়ে বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এসব ট্রাক ছিনিয়ে নেয়।

অনলাইন মিয়ানমার নাউ এ খবর দিয়ে বলেছে, বহরের ১৭টি গাড়িকে সামরিক টার্গেট করে বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছিল। এতে সামরিক জান্তার ৮ নম্বর অপারেশনস কমান্ডের প্রায় ২০০ সেনাসদস্য ছিল। তাদের ঘাঁটি ছিল দাউইতে। দাউইর প্রায় ১৮ মাইল পূর্বে থাইল্যান্ড সীমান্ত সড়কে ওয়া কোন গ্রামে গাড়িবহরটির ওপর হামলা হয়। এর ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার সেখানে ধারাবাহিকভাবে আকাশপথে হামলা চালায় সামরিক জান্তা।

স্থানীয় অধিবাসী ফাইও কো কো বৃহস্পতিবার মিয়ানমার নাউকে জানান, সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। সারাদিন ওই এলাকায় বোমা হামলা হয়েছে। বিদ্রোহীরা যে ভিডিও ধারণ করেছে তাতে দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ট্রাকগুলোর চারপাশে পড়ে আছে সেনাসদস্যদের মৃতদেহ। সেখানে ১৮টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে– এমনটি একজনকে বলতে শোনা যায়।

এদিকে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের জান্তা সরকার জোর করে রোহিঙ্গা পুরুষদের সেনাবাহিনীতে ঢোকাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হিসেবে যেসব রোহিঙ্গা শিবিরে থাকতেন, তাদেরই সেনাবাহিনীতে নেওয়া হচ্ছে। ওই রাজ্যের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, এসব রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনীতে নিয়ে মূলত মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাখাইনে সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা পুরুষকে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু শিবির থেকে জোর করে সেনাবাহিনীতে নেওয়ার পর অধিকারকর্মীরা এসব তথ্য দিয়েছেন। তাদের কথা, এসব রোহিঙ্গাকে সেনানিবাসে নিয়ে গিয়ে দুই সপ্তাহের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘাত পরিস্থিতির মধ্যেই মিয়ানমারের বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক স্কুলগুলোকে নতুন নির্দেশ দিয়েছে জান্তা। সামরিক সরকার চায়, সরকারি স্কুলগুলোর মতো মিয়ানমারের বেসরকারি স্কুলগুলোতেও যেন প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের প্রভাত সমাবেশ, পতাকা উত্তোলন এবং দেশটির জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। খবর ইরাবতীর।

পাঠকের মতামত