ডেস্ক রিপোর্ট::
প্রায় সাত লাখ পিস ইয়াবা আটকের মামলায় জাল নথি দাখিল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন হাসিলের চেষ্টা করেছিলেন মো. সালেহ আহম্মেদ নামে এক আসামি। মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় হাইকোর্টে তা উদ্ঘাটিত হয়েছে। এর পরই বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল ওই আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
একই সঙ্গে মামলার তদ্বিরকারকসহ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৫ সালের ২০ জুন ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা এবং নগদ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করে র্যাব। ওই ঘটনায় পরদিন ফেনী মডেল থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ মামলায় কারাগার থেকে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামি মো. সালেহ আহম্মেদ। জামিন আবেদনে বলা হয়, আসামি ঘটনার সময় টেকনাফ মডেল থানার একটি মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরসেদ বলেন, যে মামলার কথা বলা হয়েছে ওই মামলায় আসামি জামিনে ছিলেন। কিন্তু আসামিপক্ষ থেকে কারাগারে থাকার যে আদেশের অনুলিপি দাখিল করা হয়েছে, তা জাল। ফলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিন হাসিলের চেষ্টা করছেন। পরে নথি পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট জালিয়াতির সত্যতা পেয়ে আসামির জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন মাহাবুবা হক।
পাঠকের মতামত