
মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া দীর্ঘদিনের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোদের জেরধরে দুই পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে প্রতিপক্ষের গুলিতে নারী-পুরুষসহ ৬ জন আহত হয়েছে। ১৩ জানুয়ারী শনিবার ভোর সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় দক্ষিণ ঝাপুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, দক্ষিণ ঝাপুয়া গ্রামের সন্ত্রাসীদের গডফাদার বহু মামলার পলাতক আসামী এহতেশামুল হক প্রকাশ ডেনাইয়া (৪৪), সবুজ (২৭),মফিজ ( ৩৪), রহিমা আক্তার (২০), দিলোয়ারা বেগম (৩২) শিশু তোফা মনি ( ৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘ দিনের এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার ভোর সকালে স্থানিয় একটি বাহিনী ও এহতেশামুল হক বাহিনীর মধ্যে তুমুল গুলাগুলি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সকাল ৬ টার সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে ও দায়ের কোপে আহত হয় অপর বাহিনীর প্রধান গডফাদার এহতেসামুল হকসহ ৬ জন নারী-পুরুষ। দুই বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের কারণে এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এব্যাপারে পরস্পর বিরোধি বক্তব্য পাওয়া গেছে, আহত এহতেশামুল হক জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন চাঁদার দাবীতে অস্ত্রসহকারে আমাদের উপর হামলা করে। প্রতিপক্ষের লোকজন বলেন, এহতেশামুল হক ও তার সৎ ভাই মনিয়া গংদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ঘটানাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এহতেশামুল হক বাহিনীর লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেমকে দোষারোপ মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে মহেশখালী থানার কালারমারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ীর ইনর্চাজ এস আই শাওন দাশ পিপি এম বার বলেন, বিষয়টি শুনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
পাঠকের মতামত