ডেস্ক রিপোর্ট::
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, প্রথমে মুফতিকে গ্রাউন্ডেড করা হয়। মুফতির পর দায়িত্বে অবহেলা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে ডিজিএম নুরুজ্জামান রঞ্জুকেও গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে।
বিমানের গ্রাহকসেবা সূত্রে জানা গেছে, বিভাগে ডিজিএম রঞ্জুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টাসহ একাধিক অভিযোগ থাকলেও বিএনপিপন্থী এই প্রভাবশালী নেতা ফ্লাইট সার্ভিসের অনেকের মতো প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর ভিভিআইপি ফ্লাইট করে যাচ্ছেন।
বিমানের লন্ডন স্টেশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট হিথ্রোতে বোর্ডিংব্রিজে সংযুক্ত হলে নিয়ম মতে তাকে আগে নামানো হয়। প্রধানমন্ত্রী বের হন এয়ারক্র্যাফ্টের ওয়ান-এল দরজা ব্যবহার করে। নুরুজ্জামান রঞ্জু প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিবেচনা না করেই টু-এল দরজা খুলে দেন এবং সাধারণ মানুষদের আগে বের হওয়ার সুযোগ করে দেন। কী উদ্দেশ্য এয়ারক্র্যাফ্টের টু-এল দরজাটি আগে খুলে দিলেন এই নিয়ে হিথ্রোর নিরাপত্তা কর্মীরাও হতবাক।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গ্রাহকসেবা পরিচালককে।
এ বিষয়ে সদ্য দায়িত্ব নেয়া গ্রাহকসেবা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বে অবহেলা কিছুতেই সহ্য করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাঠকের মতামত