প্রকাশিত: ০২/১০/২০১৬ ১:৩২ পিএম

img_20161002_133242সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া :

শিশুটির বয়স ৬ বছর পেরিয়েছে।কিন্ত এ শিশু বয়সেই শিশুটির করুন অবস্থা।নিয়তির নির্মম পরিহাস প্রতিবন্ধী শিশুটিকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নামতে বাধ্য করেছে।নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন,কি কষ্ট করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষা করে।এ ষ্টেশন থেকে সে ষ্টেশন যেতে তার এ কষ্ট মনুষ্যসৃষ্ট কোন কষ্ট নয়,এ কষ্ট তার জন্মের কষ্ট।শিশুটির নাম মোহাম্মদ ইছহাক,উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফলিয়াপাড়া গ্রামের আমির হোসেন ও ছালেহা বেগমের সংসারে জন্ম নেওয়া ইছহাক জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী।দিনমজুর পিতা ও অন্যের বাড়ীতে ঝি,এর কাজ করা মায়ের টানাপোড়নের সংসারে বোঝা না বাড়িয়ে উখিয়া সদর ষ্টেশনে শিশু ইছহাক নেমেছে ভিক্ষাবৃত্তিতে।অথচ তারও ইচ্ছে সে পড়ালেখা করবে,সুচিকিৎসা করাবে নিজের পায়ের।চলবে অন্তত হাটিহাটি পা,পা করে।কারো সাহায্যে না হলেও ইছহাক পড়ালেখা ও নিজের চিকিৎসা ১-২ টাকা করে ভিক্ষায় পাওয়া জমানো টাকা দিয়েই করতে চায়। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ঈছহাক জানায়,তারা ৫ ভাই ১ বোন,বোনটির বিয়ে হয়েছে,ভাইয়ের চায়ের দোকনে চাকরি করে।অভাবের তাড়নায় সে ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমেছে,দিনে ১০০ থেকে ১২০ পর্যন্ত পায় সে,তা থেকে কিছু টাকা জমিয়ে পড়ালেখা ও চিকিৎসা করতে চায় সে। ইছহাকের পিতা আমির হোসেন জানায়,আমি অক্ষম তাই ছোট শিশুটিতে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্ত পড়ালেখার তার প্রবল ইচ্ছে।কিন্তু ইচ্ছে থাকলেইতো আর হবেনা,সামর্থ যে নেই আমার।

পাঠকের মতামত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, চট্টগ্রাম -কক্সবাজার সড়ক অবরোধ

চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর ...

কক্সবাজারের সাবেক জেলা জজ-ডিসিসহ পাঁচজনের বিচার শুরু

কক্সবাজারের মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথি জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ...

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে আমার নামে “সাত হাজার পিস ইয়াবাসহ একজন আসামিকে ক্যাম্পে এনে পরবর্তীতে আর্থিক ...