প্রকাশিত: ২৭/১১/২০২০ ১২:৪১ পিএম

কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ভারত। ‘দিল্লি চলো’ ডাক দেওয়া আন্দোলনে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, কেরালা এবং পাঞ্জাব থেকে দিল্লিতে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার কৃষক-শ্রমিক। তাদের লক্ষ্য রাম লিলা ময়দানে সমাবেশ করা।

এ ছয়টি রাজ্য থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে দিল্লি প্রবেশের চেষ্টা করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। পথে পথে মিছিলে উত্তাল রাজপথ। তবে রাজ্য থেকে বের হতে গিয়ে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। শীত উপেক্ষা করেই ‘কৃষি আইন’ বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে জড়ো হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কৃষক-শ্রমিকদের ঠেকাতে দিল্লির প্রবেশ দ্বারে বিপুল নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, হরিয়ানা, পাঞ্জাবের ক্ষুব্ধ কৃষকরা বের হতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে অনেক জায়গা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই সোনপতে পৌঁছে গিয়েছিল ২০০-র বেশি কৃষকের একটি দল। রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়েই তারা স্লোগান দেয়। পুলিশও ব্যারিকেড বানিয়ে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস নিয়ে তৈরি ছিল। প্রতিবাদরত কৃষকদের ওই দলের ওপর জলকামান ছোড়ে হরিয়ানা পুলিশ।
তবে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেও কৃষকদের প্রতিহত করতে পারছেন মোদি সরকার। সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং অল ইন্ডিয়া কিসান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দিল্লি ঢোকার জন্য ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০ হাজার কৃষক পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানার বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দিল্লির আশপাশে বহু কৃষক জমায়েত হতে দেখা গেছে।
এমন অবস্থায় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তবে সর্বশক্তি দিয়ে সহিংসতা মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সীমান্তে বহু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দিল্লিতে ঢোকার রেল যোগাযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলন ক্রমশই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করছে। কংগ্রেসের অনেক নেতাকর্মীও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়ার খবর জানায় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

পাঠকের মতামত