প্রকাশিত: ২২/০৬/২০১৮ ৭:১৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৩৮ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
বিদেশ থেকে পরিচালিত বিদ্বেষমূলক প্রচারণায় মিয়ানমারে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে বিচ্ছিন্ন করছে বলে দাবি করেছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্ক্রানারকে তিনি একথা বলেছেন। সু চি বলেন, জাতিগত বিশ্বাস তৈরিতে সময় ও ধৈর্য প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এ ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছে।

সু চি বলেন, ‘বিদেশ থেকে আসা বিদ্বেষমূলক প্রচারণায় মিয়ানমারে দুই সম্প্রদায়ের দূরত্ব আরও বেড়ে গেছে। এই সংকট সমাধানের পথ খুঁজছেন তারা।

কোন সম্প্রদায় এবং কী রকম বিদ্বেষমূলক আখ্যানের কথা বলা হচ্ছে তা জানার জন্য সরকারি মুখপাত্র জাও তায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তিনি কোনও কথা বলেননি।

আগস্টের পর থেকেই সু চি’র সরকার রাখাইনের সহিংসতায় অমুসলিম বাস্তুচ্যুতদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফেসবুক ও টুইটারে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ফেক নিউজ প্রচারের অভিযোগ করে আসছে মিয়ানমার।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয় না। এছাড়া সেখানকার রোহিঙ্গারা অবাধ যাতায়াত, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার বঞ্চিত।

পাঠকের মতামত