প্রকাশিত: ১২/০২/২০১৮ ১:৩০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৬:৪৩ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা নিয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির মুখোমুখি হয়েছিলেন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তাদেরকে ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে দেখা গেছে। কিন্তু আলোচনায় উঠে এসেছে কড়া কথা। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর নিয়ে এসব কথা লিখেছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, রোববার সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বরিস জনসন ছুটে যান রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বসতিতে। সেখানে গিয়ে তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন ধ্বংসলীলা। দেখেন কিভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তাকে বাচ্চাদের পুড়ে যাওয়া একটি বাইসাইকেলের ধ্বংসাবশেষ হাতে তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসব ছবি প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। এতে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা তাকে রাখাইন রাজ্যে পুড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে নিয়ে যান। এ গ্রামটি হলো মংডুর পান ড পাইন। সেখানে তিনি দেখতে পান গ্রামটিকে একেবারে পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি অং সান সুচির সঙ্গে রাজধানী ন্যাপিডতে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, ২৫ শে আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। গণধর্ষণ করা হয় বালিকা, যুবতী ও নারীদের। বীভৎসভাবে এরপর হত্যা করা হয তাদের। পুড়িয়ে দেয়া হয় গ্রামের পর গ্রাম। লুটে নেয়া হয় সহায় সম্বল। ফলে বাধ্য হয়ে মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। একে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। এসব রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত পাঠাতে একটি শিডিউল নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সাহায্য সংস্থাগুলো।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...