ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০৫/২০২৩ ৭:০৪ এএম

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় জব্দ করা তিনটি বইয়ে বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে ‘ভালোবাসামাখা’ লেখাগুলো তার কথিত প্রেমিকা গায়েত্রী অমর সিংয়ের নয়। তিনটি বই কেউ কখনো পড়েননি, পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখেননি এবং অক্ষত বই। চারটি কাগজে থাকা ও তিনটি বইয়ের লেখাগুলো পিবিআই অফিসে বসেই সাজিয়ে গুজিয়ে লিখে বাদীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এমন দাবি করেছেন বাবুলের আইনজীবী। তবে এ বক্তব্য সত্য নয় জানিয়ে বাদী বলেছেন, লেখাগুলো গায়েত্রীর।

বাবুল ও গায়েত্রীর মধ্যে কথোপকথনের তারিখবিহীন ২৯টি মেসেজও ভুয়া ও সাজানো বলে দাবি করেন আইনজীবী। বাদী জেরায় মেসেজে তারিখ না থাকার কথা স্বীকার করলেও মেসেজগুলো বাবুল ও গায়েত্রীর বলে দাবি করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মিতু তার বাবা বাদী মোশাররফ হোসেনকে এ মেসেজ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন বলে আদালতে জানানো হয়।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে জেরায় এসব বিষয় উঠে আসে। টানা দুইদিন শেষে বাদীর জেরা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আগামী ১১ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।

জেরার শেষ দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী কফিল উদ্দিন চৌধুরী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অভিযোগ গঠনের পর থেকে জেরা করার জন্য আমরা সব আলামত হাতে পাচ্ছি না। তখন আদালত বলেন, ‘আপনাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় এখানে ন্যায়বিচার হচ্ছে না। এসব বন্ধ করুন।’ কী ডুকমেন্ট পাচ্ছেন না জানতে চাইলে তখন সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি আসামির আইনজীবী। পরে আদালত বলেন, সবাই শতভাগ নিশ্চিত থাকুন। আমার আদালতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। আদালত বলেন, প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষের) কিছু গাফিলতির কারণে জেরা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

কফিল উদ্দিন বলেন, তিনটি বইয়ের হাতের লেখা গায়েত্রীর বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তিনটি বইয়ের লেখা তিন ধরণের হওয়ায় এগুলো তিন জনের লেখা- তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ২৯টি এসএমএস আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এ এসএমএসগুলো কোনো সময়ের তার তারিখ নেই। আসামি পক্ষ থেকে এসব অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাদের দাবি, একটি বড় ষড়যন্ত্র ও সাজানো ঘটনা।

রাষ্ট্রপক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি আবদুর রশিদ বলেন, দ্রুত পরবর্তী জেরার তারিখ দেওয়ার জন্য আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে আসামি পক্ষের বক্তব্য শুনে ১৫ দিন পরপর এ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হবে বলে সিদ্ধান্ত দেন বিচারক।

গত ১৩ মার্চ সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে নানা নাটকীয়তা শেষে মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

পাঠকের মতামত

১৫০ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে ২৮৫ সেনাকে নিয়ে ফিরবে মিয়ানমারের জাহাজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জা‌নি‌য়ে‌ছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ ...

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...