ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজের একজন মুখপাত্র জানান, নুরান হিগিনস সোমবার সকালে বাংলাদেশ ছেড়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হিগিনস উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের কাছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে রোহিঙ্গাদের জন্য স্থাপিত রেড ক্রসের ফিল্ড হাসপাতালের টিম লিডার ছিলেন।
উখিয়ার ইউএনও মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে বাধা এবং তাদের তথ্য না দেওয়ার অভিযোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার ভোর রাতে ঘুমধুমের ট্রানজিট ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এক রোহিঙ্গা নারী ও তার তিন শিশু দ্বগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে নেওয়া হয় রেডক্রসের ফিল্ড হাসপাতালে।
খবর পেয়ে ওই হাসপাতালে যান কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়ার সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) ও উখিয়া থানার ওসি। কিন্তু হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে তারা ফিরে যান।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন বিকালে ওই চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। এ খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও সরওয়ার কামালকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামান। তিনি বলেন, “আমরা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষ বাধা দেয়। তথ্য না দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। ”
তারা শুক্রবারই কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। সেখান থেকে জানানো হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর রোববার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নুরান হিগিনসকে বাংলাদেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ( জাতিসংঘ-১ ) মো. শোয়েব আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, নুরান হিগিনসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস। ওই ঘটনার জন্য রেডক্রসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পাঠকের মতামত