
টেকনাফের হ্নীলা উলুচামরী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রেমিক-প্রেমিকাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে প্রেমিকা গরিব পরিবারের মেয়ে বলে প্রেমিক ছেলের অভিভাবক মেনে নিতে নারাজ। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়
জানা যায়, উলুচামরী এলাকার হামিছ (২০) দীর্ঘ দিন ধরে হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার জান্নাত আরা (১৯)-এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের সম্পর্ক অনেক আগের।
গত ৫ আগস্ট ভাবির সঙ্গে শপিং করতে সকাল ১১টায় হ্নীলা স্টেশনে আসলে জালাল আহমদের পুত্র হামিছ তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জান্নাত আরাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়। ওই যুগল প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর পর খবর মেলে কক্সবাজারে একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে রয়েছে।
হবু স্বামী হামিছের পরিবার খবর পেয়ে কক্সবাজার থেকে গভীর রাতে তাদের দু’জনকে হ্নীলা রঙ্গিখালির উলুচামরীতে নিয়ে আসে। হামিছ জান্নাত আরাকে বিয়ে করতে শতভাগ রাজি। তবে জান্নাত আরা গরিব ঘরের মেয়ে হওয়ায় তা মেনে নিচ্ছে না হামিছের পরিবার।
এক পর্যায়ে হামিছ অনড় দেখে তার পরিবার ৯৯৯-এ ফোন দেয়। ফোন পেয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ তৎক্ষণাত ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিক জুটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে জান্নাত আরাকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়।
জান্নাত আরার মা ফাতেমা বেগম বলেন,
“বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উক্ত হামিছ আমার মেয়েকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সম্ভ্রমহানি করেছে। তার উপযুক্ত বিচার চাই।”
জান্নাত আরার বড় ভাই রবি আলম বলেন,
“আমার বোনকে নষ্ট করার পেছনে হামিছের সহযোগী হিসেবে তার চাচারও প্ররোচনা রয়েছে। তাকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
পশ্চিম সিকদার পাড়ার বাসিন্দা করিম বলেন,
“মেয়েটি অসহায় গরিবের ঘরে জন্ম নিয়েছে বিধায় নেতা-পাতি নেতা সবাই ওই হামিছের পক্ষাবলম্বন করছে।”
এদিকে টেকনাফ থানা পুলিশ হ্নীলা উলুচামরীর প্রেমিক হামিছকে সংশ্লিষ্ট ধারায় কোর্টে চালান করেছে বলে জান্নাত আরার পরিবারকে আশ্বস্ত করেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) হিমেল রায় জানান,
“এ ঘটনায় মেয়ে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।
পাঠকের মতামত